সেরা আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক হয় রাশিয়া। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা স্বাগতিকের মর্যাদা পেতে করণীয় সব কিছুই করেছে দেশটি। ভেন্যু নির্মাণ থেকে সব কিছুতেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর মনে করছেন বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা স্বাগতিক তারাই। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়া বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের মূল্যায়ন তুলে ধরেন তিনি।

২০১০ সালের অক্টোবরে ফিফার কংগ্রেসে ২০১৮ বিশ্বকাপের স্বাগতিক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় রাশিয়ার। এরপর থেকে কম সমালোচনা শুনতে হয়নি বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাকে। তৎকালীন সভাপতি সেফ ব্লাটারকে তুলোধুনো করে ব্রিটিশ মিডিয়া। সমালোচনায় বেশ সরব ছিল পশ্চিমা মিডিয়াও। 

তবে বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকে প্রশংসাই পাচ্ছে রাশিয়া। আতিথ্যে রাশানরা নিজেদের উপস্থাপন করেছে ভিন্নভাবে। এমন গোছানো বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান ফিফার সভাপতি, ‘আমি আগেই বলেছিলাম এটা হতে যাচ্ছে সেরা ওয়ার্ল্ড কাপ। এখন বলতে পারছি এটাই সেরা ওয়ার্ল্ড কাপ। রাশিয়ার সরকার, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ধন্যবাদ। স্বেচ্ছাসেবকদের মুখে সব সময় হাসি দেখতে পেয়েছি। আমাদের কাজ হচ্ছে পর্দার পেছন থেকে দেখা। রাশিয়া যা করেছে তা এক কথায় অসাধারণ। রাশিয়ায় এখন অনেক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। এখানকার ফুটবলেও পরিবর্তন এসেছে। এখানকার অবকাঠামো অসাধারণ। ভবিষ্যতের কথা ভেবে পরিকল্পিত স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছে তারা। এখানকার সংস্কৃতি এবং ইতিহাসও অসাধারণ।’

বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় কর্তা সংবাদ সম্মেলনে আছেন স্বেচ্ছাসেবকদের একটি জার্সি গায়ে দিয়ে। রাশিয়া কেন তার দেখা সেরা বিশ্বকাপ, গণমাধ্যমের কাছে পয়েন্টগুলো ব্যাখ্যা করেন তিনি, ‘এটা যে সেরা বিশ্বকাপ, তা জানাতে আমি কয়েকটি পয়েন্ট লিখে নিয়ে এসেছি। এই বিশ্বকাপ দেখতে প্রায় এক মিলিয়ন পর্যটক দেশটিতে সফর করেছেন। রেকর্ড তিন বিলিয়ন দর্শক বিশ্বকাপ খেলা দেখেছে। ফিফার ডিজিটাল সার্ভেতে দেখেছি ৭ মিলিয়ন দর্শক ফ্যান ফেস্টে খেলা দেখেছেন। অ্যান্টি ডোপিং প্রোগ্রাম সফল হয়েছে। মাত্র একটা ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। অন্য ম্যাচগুলোয় গোল হয়েছে। আমরা যা প্রত্যাশা করেছি, তার চেয়েও অনেক সুন্দর সুন্দর স্টেডিয়াম দেখতে পেয়েছি। স্টেডিয়ামগুলো শুধু অসাধারণ স্থাপনাই নয়, এর অপারেটিং সিস্টেমও বেশ দারুণ। যাতায়াতের জন্য বেশ ভালো ব্যবস্থা করেছিল রাশান সরকার। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকদের আচরণ ছিল বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ।’