আপডেট : ১২ July ২০১৮
বিজ্ঞানের শাখাগুলোর মধ্যে চিকিৎসাবিজ্ঞানই সবচেয়ে অগ্রগামী। গত দুই শ বছরে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন, যা মানুষের জীবনযাত্রাকে আমূল বদলে দিয়েছে। বলা যায় বর্তমান যুগ চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগ। বর্তমান সময়ের মতো ইতিহাসের আর কোনো সময়ে মানুষ চিকিৎসার ওপর এতটা নির্ভরশীল ছিল না। এখন তো কথায় কথায় ডাক্তার। একটু কাশি দিলেই ডাক্তারের কাছে ছুটে যাওয়ার তাড়া। চিকিৎসা পদ্ধতিও এখন অনেক সহজ। চিকিৎসার সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে প্রযুক্তি। আধুনিক প্রযুক্তিও চিকিৎসাবিজ্ঞানকে অনেক সহজ করে তুলছে। বলা যায় প্রযুক্তি আর চিকিৎসাবিজ্ঞান এখন হাত ধরাধরি করেই চলছে। কীভাবে পরিবর্তন হয়ে গেল এই আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান, যা বদলে দিয়েছে মানুষের জীবনব্যবস্থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের যুগান্তকারী ১০ আবিষ্কার নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন। ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং (interestingengineering.com) ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে লেখাটি তৈরি করেছেন কামরুল আহসান ১. থার্মোমিটার : থার্মোমিটার চিনেন না এমন কেউ নেই। জ্বর হলেই এটি মুখে বা বগলতলায় চেপে গায়ের তাপ মাপতে হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের সবচেয়ে সহজতম এবং জনপ্রিয় এ যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন গাব্রিয়েল ফারেনহাইট, ১৭১৪ সালে। একটি কাচের শিশির ভেতর ভরা থাকে নির্দিষ্ট মাত্রার পারদ, শরীরের উত্তাপের সঙ্গে সঙ্গে সেই পারদ উঠতে থাকে ওপরে। মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্র ৯৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এর ওপরে উঠলেই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বা জ্বর বলে তাকে ধরা হয়। তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতিই যেকোনো রোগের প্রধান লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। থার্মোমিটার আবিষ্কারের আগে গায়ে হাত রেখেই তাপমাত্রা মাপা হতো। এখনো তা হয়, হাতের কাছে থার্মোমিটার না থাকলে। অনেকে জ্বর জ্বর বোধ করেন, ডাক্তারের কাছে এসে বলেন, ভেতরে ভেতরে জ্বর হয়। কিন্তু, ডাক্তাররা থার্মোমিটারে না মেরে জ্বর মনে হওয়াকে আমলে নেন না। জ্বর হলে তার পরিমাপ থাকতে হবে থার্মোমিটারে। একটা থার্মোমিটার আপনি ঘরে কিনে রাখতে পারেন। দাম খুব সস্তা, আর এটা দেখাও খুব সহজ। পরিবারের যেকোনো মানুষের যেকোনো মুহূর্তেই জ্বর হতে পারে। একটা থার্মোমিটার ঘরে থাকলে খুব কাজে দেয়। এখন অবশ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জ্বর মাপার জন্য ডিজিটাল থার্মোমিটার এসেছে। সেটা হাসপাতালে ডাক্তারদের কাজ, খুব সিরিয়াস রোগীদের তাপমাত্রা মাপার জন্য। ২. স্টেথোস্কোপ : স্টেথোস্কোপও চিকিৎসাবিজ্ঞানের অত্যন্ত পরিচিত একটি যন্ত্র। ডাক্তার মানেই তার গলায় একটি স্টেথোস্কোপ ঝোলানো থাকবে। এটি দিয়ে হূৎস্পন্দন মাপা হয়। এর আগে মানুষের হার্টবিটস মাপা হতো বুকের ওপর কান পেতে। পুরনো দিনের ছবিতেও এ রকম দেখা যায়, গ্রামের বুড়ো ডাক্তার বুকের ওপর ঝুঁকে পড়ে কান পেতে হূৎস্পন্দন শোনার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এটি অত্যন্ত একটি প্রাচীন একটি পন্থা, তাতে বুকের ধুকধুক শোনা গেলেও পুঙ্খানুপুঙ্খ হূৎস্পন্দন শোনা যায় না। আধুনিক স্টেথোস্কোপের প্রাথমিক যন্ত্রটি তৈরি করেন ফরাসি চিকিৎসক রেনে থিয়োফিল লেনেক। সেটি ছিল একটি কাঠের চোঙা! এর পেছনে একটা মজার ঘটনা আছে। তার হাসপাতালে একবার এমন এক রোগী এসেছে, একটু পর পরই যার হূৎস্পন্দন পরীক্ষা করতে হতো। কিন্তু, একদিন তিনি বুকে কান পেতেও কোনো শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন না। কিন্তু, রোগী যে বেঁচে আছেন এটাও তিনি বুঝতে পারছিলেন হাতের নাড়ি চেপে। মন খারাপ করে তিনি বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ দেখেন রাস্তায় দুটো ছেলে ফাঁপা কাঠের গুঁড়ি দিয়ে খেলছে, মুখের কাছে নিয়ে শব্দ করছে। তিনি বাসায় না গিয়ে হাসপাতালে ফিরে এলেন, কাগজের একটা চোঙা বানিয়ে রোগীর বুকে ধরলেন। এবার স্পষ্টতই রোগীর বুকের ধুকধুক শুনতে পেলেন। পরে তার পরামর্শে কাঠমিস্ত্রিরা তাকে একটি নল বানিয়ে দেন, সেই নলই আজকের আধুনিক স্টেথোস্কোপ, যা ছাড়া ডাক্তারদের চলেই না। ৩. এক্স-রে : এক্স-রে হচ্ছে শরীরের ভেতরের হাড়ের অবস্থান দেখার একটা আধুনিক প্রযুক্তিগত পদ্ধতি। হাড়ের চিকিৎসা এখন এক্স-রে ছাড়া সম্ভবই না। এক সময় হাত-পা ভেঙে গেলেও শুধু অনুমানের ওপর নির্ভর করে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের ওপরে বাঁধ দেয়া হতো। এখন ডাক্তাররা এক্স-রে করে নিশ্চিতভাবেই বলতে পারেন ঠিক কোথায় হাড়টা কী পরিমাণ ভেঙেছে। এই পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ভিলহেল্ম কনরাড রঞ্জেন। এক্স-রে বা রঞ্জন রশ্মি তিনি আবিষ্কার করেছিলেন অনেকটা নিজের অজান্তেই। ল্যাবরেটরিতে তিনি গ্যাসের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত নিম্ন চাপে ইলেকট্রন পাস করছিলেন, হঠাৎ দেখলেন অন্ধকার ঘরে নল থেকে কিছু দূরে অবস্থিত বেরিয়াম প্লাটিনোসায়ানাইড আবৃত পর্দায় প্রতিচ্ছায়ার সৃষ্টি হয়েছে। এর তিনি কী নাম দেবেন বুঝতে না পেরে নাম দিলেন এক্স-রে। এটি এক প্রকার তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ, যা সোজাপথে বা সরলরেখা বরাবর গমন করে। সাধারণ আলো কাঠ, পেশি, পোশাক ভেদ করে চলে যায়, কিন্তু, এ আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম বলে ধাতু, হাড়, ক্যানসার কোষ ভেদ করে যেতে পারে না। তার ছায়া পড়ে ফটোগ্রাফিক প্লেটে। যা দেখে নির্ণয় করা যায় শরীরের অভ্যন্তরে হাড়ে বা কোষে অস্বাভাবিক কিছু ঘটেছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। এই আবিষ্কারটির জন্য ১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম নোবেল পুরস্কারটি অর্জন করেন কনরাড রঞ্জেন। ৪. অ্যান্টিবায়োটিক : শরীরে হঠাৎ নানা রকম ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। তাতে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয়। ব্যাকটেরিয়া হচ্ছে এক প্রকার অণুজীব, ছত্রাক। যারা শরীরের ভেতর বংশবিস্তার করে মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে। মানুষকে এই হঠাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক। অ্যান্টিবায়োটিক হচ্ছে অণুজীবের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরেক ধরনের অণুজীব। একেক ধরনের অণুজীবের জন্য একেক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক আছে। প্রথম অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেন আলেকজান্ডার ফ্লেমিং ১৯২৭ সালে। তার আবিষ্কৃত বিখ্যাত অ্যান্টিবায়োকটির নাম পেনিসিলিন। এর আগে থেকেই অবশ্য, প্রায় প্রাচীনকাল থেকেই প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহূত হয়ে আসছে বিভিন্ন রোগের সেবায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা মনে করেন, অনেক রোগ সারানোর ওষুধ প্রকৃতির মধ্যেই আছে, যা মানুষ এখনো জানে না। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অ্যান্টিবায়োটিক এখন একটি অপরিহার্য উপদানের নাম, যার কারণে কোটি কোটি মানুষের জীবন বেঁচে যায়। তবে অ্যান্টিবায়োটিক বেশি খাওয়াও ঠিক নয়। অ্যান্টিবায়োটিক শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে না। ৫. সুই বা সিরিঞ্জ : ছোটবেলায় ইনজেকশনের কথা শুনে ভয় পায়নি এমন কেউ নেই। এখন তো জন্মের পর থেকেই টিকা দেওয়া হয়। ইনজেকশন নেওয়া এখন জীবনযাপনেরই একটা অংশ। শুধু অসুখ-বিসুখ হলেই না, অসুখ-বিসুখ যেন না হয় তার জন্য আগে থেকেই নানারকম প্রতিষেধক নেওয়া হয়। সুই বা সিরিঞ্জের মাধ্যমে রক্তের মধ্যে মিশিয়ে দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় তরল ওষুধ, যা দ্রুত কার্যকরী। ইনজেকশনের ইতিহাস খুব বেশি পুরনো নয়। মাত্র ১৫০ বছর ধরেই মানুষ এ সূক্ষ সুইটির সঙ্গে পরিচিত। তার আগে, প্রাচীন গ্রিসে ও রোমে চিকন নল দিয়ে রক্তে ওষুধ প্রদান করা হতো। আধুনিক সূক্ষ সুইয়ের আবিষ্কার অষ্টাদশ শতাব্দীতে। চার্লস পারাভাজ এবং আলেকজান্ডার ওড এ সুই আবিষ্কার করেন। এখন প্রায় ব্যথাহীনভাবেই সূক্ষ সুইয়ের মাধ্যমে ওষুধ প্রদান করা যায়। সুই বা সিরিঞ্জ এখন চিকিৎসাবিজ্ঞানের অপরিহার্য অঙ্গ। ৬. চশমা : যদি বলা হয় চশমার কথা আপনি হয়তো এই মুহূর্তেই চোখে হাত দেবেন আপনার চশমাটি আছে কি না তা দেখার জন্য। চশমা এখন শরীরের আরেকটি বাড়তি অঙ্গের মতোই হয়ে গেছে। নানা কারণেই এখন চশমার ব্যবহার বাড়ছে। টিভি, কম্পিউটার দেখার কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে আছে। তা ছাড়া নানা অসুখ-বিসুখেও মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারায়। দৃষ্টিশক্তি হারানো এখন শুধু বয়সের ওপরই নির্ভর করে না। এক সময় এ চশমা ব্যবহার ছিল নামমাত্র। একটি মাত্র কাচ, ফিতার সঙ্গে বাঁধা, অধ্যাপকরা পকেটে রেখে দিতেন, খুব প্রয়োজন হলে বের করে একটু দেখে নিতেন। এখনকার মতো নাকে বসে কান ধরে অবস্থায় ছিল না। মজার ব্যাপার হলো চশমা যে ঠিক কে আবিষ্কার করেছেন তার কোনো নাম-পরিচয়, দিকনির্দেশনা নেই। অষ্টাদশ শতাব্দী থেকেই চশমার ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। এখন তো চোখে চোখে চশমা। ৭. কার্ডিয়াক পেসমেকার : কার্ডিয়াক পেসমেকার একটি মাইলফলক আবিষ্কার। ১৯২৬ সালে এটি আবিষ্কার করেন অস্ট্রেলিয়ার দুজন চিকিৎসাবিজ্ঞানী মার্ক সি হিল এবং এডগার এইচ বুথ। হার্ট অ্যাটাকের ফলে বা হূদযন্ত্রের কোনো ত্রুটির ফলে ব্লক সৃষ্টি হলে হূদস্পন্দনে অনিয়ম ঘটে, হূদযন্ত্রের পক্ষে যথেষ্ট রক্ত পাম্প করা সম্ভব হয় না। ওষুধ দিয়েও হূদস্পন্দন স্বাভাবিক করা যায় না। তখন কৃত্রিম পেসমেকারের মাধ্যমে হূদযন্ত্রের ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখা যায়। নিঃসন্দেহে এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি অনন্য আবিষ্কার। প্রতিবছর বিশ্বে লাখ লাখ হূদরোগীর জীবন বাঁচে কৃত্রিম কার্ডিয়াক পেসমেকারের মাধ্যমে। এ রকম পেসমেকার সাময়িক, দীর্ঘমেয়াদি, চিরস্থায়ীও হতে পারে। ঘড়ির ডায়ালের আকারের দেখতে ছোট একটা যন্ত্র হূৎপিণ্ডের পাশে বসিয়ে দেওয়া হয়। ব্যাটারির সাহায্যে এটি এক প্রকার কৃত্রিম বিদ্যুৎস্পন্দন সৃষ্টি করে হার্টকে সচল রাখে। ৮. সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই : চিকিৎসাবিজ্ঞানের আধুনিকতম সংস্করণ সিটি স্ক্যান বা এমআরআই মেশিন। অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর এ বিশাল যন্ত্রটি চিকিৎসাবিজ্ঞানে নিয়ে এসেছে নতুন যুগ। এ যন্ত্রটি শরীরের ভেতরের যেকোনো অংশের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশের বিভিন্ন আকারের, মাপের, পরিপূর্ণ স্বচ্ছ ছবি ফুটিয়ে তুলতে পারে। এটিও এক ধরনের এক্স-রে মেশিন, তবে অত্যন্ত শক্তিশালী আর কম্পিউটার নির্ভর। ১৯৭৯ সালে এ যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন ড. গডফ্রে হন্সফিল্ড। এর জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পান। তার কয়েক বছর পরই ড. রেইমন্ড আবিষ্কার করেন এমআরআই মেশিনটি। এর আদলে তৈরি হলেও এমআরআই মেশিনটি আরো বেশি শক্তিশালী। সিটি স্ক্যান কাজ করে এক্স-রে, মানে তড়িৎ প্রবাহের মাধ্যমে আর এমআরআই কাজ করে ম্যাগনেটিক ফিল্ডের মাধ্যমে। সাধারণত ক্যানসার শনাক্তকরণেই এমআরআই বেশি ব্যবহার করা হয়। আশির দশক থেকেই যন্ত্র দুটি সারা বিশ্বে স্থাপন শুরু হয়। বাংলাদেশেও অল্প কয়েকটি সিটি স্ক্যান ও এমআরআই মেশিন আছে। ৯. কৃত্রিম পা : পা শরীরের একটি প্রধান অঙ্গ, যার ওপর ভর করে পুরো শরীরটি দাঁড়িয়ে থাকে। শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি মানুষ হারাতে পারে নানা কারণে। অসুখ-বিসুখে, সড়ক দুর্ঘটনায় ইত্যাদি। এক সময় যুদ্ধে গিয়ে সৈনিকরা পা হারাতেন। পা হারানো মানে সারাজীবন পঙ্গু হয়ে বসে থাকা। অচল হয়ে যাওয়া। কিন্তু, কৃত্রিম পা মানুষকে সেই অসীম যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিয়েছে। এখন কৃত্রিম পা এত উন্নত যা দেখতে সত্যিকারের পায়ের মতোই। এ সময়ের কৃত্রিম পা-গুলো বানানো হয় কার্বন ফাইবার দিয়ে, যা আগের লোহানির্মিত পা থেকে অনেক বেশি হালকা ও সত্যিকারের পায়ের মতোই দেখায়। তার চেয়েও বড় কথা এখন মাইওইলেকট্রিক সেন্সর পা বানানো হচ্ছে, যা নার্ভের সঙ্গেও সংযুক্ত এবং ব্রেনের স্পন্দনে সাড়া দেয়। প্রায় অনেকটা সত্যিকারের পায়ের মতোই কাজ করে। কৃত্রিম পা নিয়ে এখন একেবারে দৌড়বিদদের মতো দৌড়ানো যায়, তাদেরও প্রতিযোগিতা হয় এবং তারা ফুটবলও খেলতে পারে।’ ১০. ইসিজি : হঠাৎ আপনার বুকে ব্যথা? কী করবেন? একজন বলল, গ্যাসের ব্যথা, একটু পর সেরে যাবে। কিন্তু, একটু পরও সারল না। বুকের বাম পাশে ব্যথাটা খোঁচাচ্ছে। আরেকজন পরামর্শ দিল, যাও গিয়ে একবার ইসিজিটা করে এসো। আপনি ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার আপনাকে বেডে শুইয়ে বুকের পাশে কিছু যন্ত্রপাতি লাগিয়ে হূৎপিণ্ডের একটা ইলেকট্রো-কার্ডিয়োগ্রাফি বের করে নিল। মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের কাজ। খরচ লাগবে মাত্র ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এর বিনিময়েই আপনি জানতে পারবেন আপনার হার্টের বর্তমান অবস্থা। স্বল্প ব্যয়ে এবং স্বল্প সময়ে হূদযন্ত্রের চটজলদি খবর জানানোর ব্যবস্থা করে দেয় ইসিজি বা ইলেকট্রো-কার্ডিয়োগ্রাফি নামক যন্ত্রটি। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। যন্ত্রটি তৈরি করেন নেদারল্যান্ডসের চিকিৎসাবিজ্ঞানী উইলিয়াম আইন্থোভেন। এর জন্য তিনি ১৯২৪ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১