আপডেট : ১০ July ২০১৮
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ : সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ১৮৬২ সালের ৮ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের শিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সেতার, সানাই এবং রাগসঙ্গীতে বিখ্যাত ঘরানার গুরু হিসেবে সারা বিশ্বে তিনি প্রখ্যাত। সরোদই তার শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বাহন হলেও স্যাক্সোফোন, বেহালা, ট্রাম্পেটসহ আরো অনেক বাদ্যযন্ত্রে তার যোগ্যতা ছিল অপরিসীম। তার সন্তান ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ ও অন্নপূর্ণা দেবী নিজস্ব ক্ষেত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (২ নভেম্বর ১৮৮৬-২৯ মার্চ ১৯৭১) : তিনি একজন বাঙালি আইনজীবী, সমাজকর্মী, ভাষাসৈনিক ও রাজনীতিক। ভারতীয় উপমহাদেশের ভারত অংশে এবং পরে পূর্ব পাকিস্তানে তিনি রাজনীতিবিদ হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৫৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর হতে ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ছিলেন। সৈয়দ শামসুল হুদা, কেসিআইই (১৮৬২-১৯২২) : একজন ব্রিটিশ ভারতীয় মুসলিম রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে ত্রিতলবিশিষ্ট ভবনটি ‘গোকর্ণ নবাব বাড়ি কমপ্লেক্স’ নামে পরিচিত। ১৯১২ থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত ‘গভর্নরের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল’-এর সদস্য ছিলেন। আবদুল কুদ্দুস মাখন (১ জুলাই ১৯৪৭-১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪) : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতী সন্তান আবদুল কুদ্দুস মাখন ছিলেন বাংলাদেশি ছাত্রনেতা এবং রাজনীতিক। সত্তরের দশকের শুরুতে দেশে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। উল্লাসকর দত্ত : ১৬ এপ্রিল ১৮৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করা উল্লাসকর দত্ত ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব। উল্লাসকরের জন্ম অবিভক্ত বাংলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামে। অদ্বৈত মল্লবর্মণ : অদ্বৈত মল্লবর্মণ একজন ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক। ১৯১৪ সালের ১ জানুয়ারি তৎকালীন কুমিল্লা জেলার অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার গোকর্ণঘাটের মালো পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জেলার জেলে পরিবারের দুঃখ-দুর্দশার চালচিত্র তুলে ধরেন তিনি তার লেখা ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসে। আবদুল কাদির : বাঙালি কবি, সাহিত্য-সমালোচক ও ছান্দসিক কবি হিসেবে খ্যাত অবদুল কাদির। জন্ম ১৯০৬ সালের ১ জুন জেলার আশুগঞ্জের আড়াইসিধা গ্রামে। মুসলিম সাহিত্য সমাজ (১৯২৬)-এর নেতৃত্বে ঢাকায় যে বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন সূচিত হয়েছিল কবি আবদুল কাদির তার নেতৃস্থানীয় উদ্যোক্তা। তিনি ছিলেন সাহিত্য সমাজের মুখপত্র বার্ষিক শিখা পত্রিকার প্রকাশক ও লেখক। আল মাহমুদ : আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ। তার জন্ম ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই জেলা শহরের মোড়াইল এলাকায়। তিনি একাধারে একজন কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছেন। তিনি সরকারবিরোধী দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। মনমোহন দত্ত : ১২৮৪ বঙ্গাব্দের ১০ মাঘ নবীনগরের সাতমোড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মনমোহন দত্ত। তিনি ছিলেন মলয়া সঙ্গীতের জনক, মরমী সাধক, কবি, বাউল, সমাজ সংস্কারক ও অসংখ্য অসাধারণ গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। মনমোহন দত্তের লেখা গানগুলোয় সুর দিয়েছেন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর বড়ভাই আফতাব উদ্দিন। জয়দুল হোসেন : কবি জয়দুল হোসেন ১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি জেলার সুহিলপুরের তালুকদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। একজন সফল কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সংগঠক। আশির দশকে তার লেখালেখি শুরু। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। এ ছাড়াও এ জেলায় খ্যাতিমান ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- অর্থনীতিবিদ আকবর আলি খান, রাজনীতিবিদ নূরুল আমিন, ব্যারিস্টার আবদুল রসুল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, প্রয়াত মন্ত্রী সায়েদুল হক, ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, হারুন আল রশিদ, উকিল আবদুস সাত্তার, ডা. মো. ফরিদুল হুদা, অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলন, মুহাম্মদ মূসা, তুষার আবদুল্লাহ প্রমুখ।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১