আপডেট : ১০ July ২০১৮
মোগল আমলের ঐতিহাসিক নিদর্শন আরিফাইল মসজিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে অবস্থিত। ১৬৬২ সালে নির্মিত এই মসজিদটি দেখতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরিফাইল গ্রামে ভিড় করেন লোকজন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড অংশের কাছে ও সরাইল উপজেলা চত্বর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পশ্চিমে মসজিদটির অবস্থান। মসজিদটি ৭০ ফুট বাই ২০ ফুট আয়তনের। দেয়ালের পুরুত্ব ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। স্থাপত্যকলা ও অপূর্ব নির্মাণশৈলীর মসজিদটি দেখতে অনেকটা তাজমহলের মতো মনে হয়। ৩৫০ বছর পূর্বে নির্মিত এই মসজিদটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্ন নিদর্শন। বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতরের অধীন মসজিদটি প্রত্ন সম্পদ হিসেবে ঘোষিত। মসজিদটিকে নিয়ে অনেক কল্পকাহিনীও রয়েছে। মসজিদের পাশেই বিশাল আয়তনের একটি দীঘি রয়েছে। যার নাম ‘সাগর দীঘি’। মসজিদের দক্ষিণে রয়েছে দুটি কবর, যা ‘জোড়া কবর’ বা ‘রহস্যময় কবর’ নামে পরিচিত। স্থাপত্য কলা ও অপূর্ব নির্মাণশৈলীর ক্ষেত্রে কবরদ্বয় মসজিদটির চেয়ে কোনো অংশে কম যায় না। জানা যায়, ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী সরাইল বারো ভূঁইয়ার একজন ঈশা খাঁর শাসনে ছিল। ওই সময় ঈশা খাঁ এ মসজিদ ও পার্শ্ববর্তী জোড়া কবর নির্মাণ করেন। একাধিক প্রবীণ লোকজন এই মতপ্রকাশ করেন। অন্য মতে, ঈশা খাঁর দুই স্ত্রীর সমাধি হলো ‘জোড়া কবর’। নানা কারণে জোড়া কবর রহস্যাবৃত। এ রহস্যে অনেকটা প্রভাব রেখেছে কবর দুটি থেকে নিচে অনেক গভীরে যাওয়া একটি সুড়ঙ্গ। যার শেষ কোথায় ধারণা নেই কারো। স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি মসজিদ ও জোড়া কবরকে ঘিরে গড়ে তুলেছে মাজার ব্যবসা।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১