বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৮ July ২০১৮

টেকনোক্র্যাসি ২০১৮

প্রযুক্তির মিলনমেলা

রুয়েটে ‘টেকনোক্র্যাসি ২০১৮’ ফিফা ম্যানিয়া প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা সংরক্ষিত ছবি


টেলিভিশনের পর্দায় ইংরেজি সিনেমা দেখে রোবট বানানোর ইচ্ছাতেই কেটে যায় আমাদের দেশের অধিকাংশ শিশু-কিশোরের শৈশব ও কৈশোর। এরপর বড় হতে হতে অনেকেরই ইচ্ছায় পরিবর্তন আসে। আসে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা। একটা পর্যায়ে এসে পরীক্ষার সিলেবাসেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে জ্ঞানের পরিধি। যা সীমাবদ্ধ করে দেয় আমাদের কল্পনার জগৎ। ফলস্বরূপ সামগ্রিকভাবে আমরা পিছিয়ে পড়ি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে।

তাই শিক্ষার্থীদের কল্পনার জগৎকে প্রসারিত করতে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ তৈরি করতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ গত ২৮ জুন আয়োজন করেছিল ‘টেকনোক্র্যাসি ২০১৮’। এতে উপস্থিত ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এসএম আবদুর রাজ্জাক, বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম মণ্ডল, রুয়েট ছাত্রকল্যাণের পরিচালক অধ্যাপক ড. এনএইচএম কামরুজ্জামান সরকার এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রোকনুজ্জামান। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ, অধ্যাপক ড. অজয় কৃষ্ণ সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েক শিক্ষক-শিক্ষিকা।

পুরো অনুষ্ঠানকে ভাগ করা হয়েছিল দুটি অংশে। প্রথম অংশে ছিল রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক চারটি প্রতিযোগিতা। রোবো স্পিডস্টার, মাস্টার বিল্ডার, ব্রেইনস্ট্রোর্ম স্টিকার ও ফিফা ম্যানিয়ার সমন্বয়ে সাজানো হয়েছিল  প্রতিযোগিতা অংশ। এতে অংশ নেন ৬৫টি টিমের মোট ২৫০ শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে ছিল সেমিনার ও পুরস্কার বিতরণী পর্ব।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার অ্যান্ড সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন, ফটোস্ফেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা গাউসুল হীরা ও এনএলপি ট্রেইনার চৌধুরী কায়সার মোহাম্মদ রিয়াদ।

রোবো স্পিডস্টার প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দলের ক্যাপ্টেন ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হাসান বলেন, ‘প্রকৌশলবিদ্যার শিক্ষার্থীদের জন্য সিজিপিএ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু তার চেয়েও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো হাতে-কলমে কাজ শেখা। টেকনোক্র্যাসি আমাদের সবাইকে সেই সুযোগটিই করে দিয়েছে।’ কম্পিউটার অ্যান্ড সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহির আসেফ বলেন, ‘এর আগে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেও নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার আনন্দটাই অন্যরকম। তার ওপর প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশনে আমাদের দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সেই আনন্দটা আরো বেড়ে গেছে।’

টেকনোক্র্যাসি ২০১৮ পুরো ক্যাম্পাসে নিয়ে এসেছিল উৎসবের আমেজ। দিনব্যাপী এই আয়োজনে শিক্ষার্থীরা আগ্রহের সঙ্গে সময় কাটান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে। অনেকে আবার প্রদর্শনীর জন্য নিজেদের বানানো রোবট নিয়ে হাজির হন প্রতিযোগিতায়। এর পাশাপাশি অন্যান্য টিমের সঙ্গে চলে বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান ও আইডিয়া আদান-প্রদান। বিজ্ঞান চর্চাকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরো জনপ্রিয় করতে এবং দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহূত প্রযুক্তির উন্নয়নে এ ধরনের একটি আয়োজন সত্যিই অনেক প্রশংসার দাবিদার বলে মনে করেন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১