আপডেট : ০৬ July ২০১৮
তানজিল আমির শুরুর দিকে রসুল (সা.) কোনো আংটি ব্যবহার করতেন না। হুদাইবিয়ার সন্ধির পরে যখন তিনি আরব উপদ্বীপগুলোর বাইরে ইসলামী দাওয়াতের মিশন শুরু করলেন এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের নামে পত্র পাঠানোর ইচ্ছা করলেন তখন তাকে জানানো হলো, রোমানরা সিলমোহর ছাড়া কোনো পত্র গ্রহণ করেন না। রসুল (সা.) তখন রুপা দিয়ে একটি আংটি তৈরি করলেন এবং সেই আংটিতে ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ অঙ্কিত করান, যেন তা মোহরের কাজেও ব্যবহার হতে পারে। (বুখারি)। কোনো কোনো বর্ণনা থেকে অনুমিত হয়, প্রথমে উল্লেখিত উদ্দেশ্যে স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করেন তিনি। তার দেখাদেখি সাহাবাদের অনেকেই স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করা শুরু করেন। এই প্রেক্ষিতে হজরত (সা.) স্বীয় আংটি ছুঁড়ে ফেলেন এবং এই মর্মে ঘোষণা দেন, এখন থেকে আমি আর স্বর্ণের আংটি পরবো না। তারপর তিনি রুপার আংটি তৈরি করান। রুপার তৈরি আংটিটি তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করেছেন। তার এ আংটি মুবারক খোলাফায়ে রাশেদার কাছে সংরক্ষিত ছিল। অবশেষে হজরত উসমান (রা.)-এর শাসনামলে আংটিটি মদিনার আরিস নামক কূপে পড়ে যায়। তারপর আর তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। (বুখারি)। এই বর্ণনার আলোকে বিজ্ঞ আলেমরা বলেছেন, ইসলামের সূচনাকালে পুরুষের জন্যও স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করা জায়েজ ছিল। পরে তা নিষিদ্ধ হয়েছে। কারণ, রসুল (সা.) পুরুষের জন্য স্বর্ণের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেন। হজরত রসুল (সা.)-এর আংটি মুবারকের বৃত্তটি ছিল রুপার তৈরি। আর তার উপরের অংশটি ছিল রুপার আর নির্মাণশৈলী ছিল হাবশী (আবু দাউদ)। রসুল (সা.) ডান বাম উভয় হাতেই আংটি পরেছেন বলে প্রমাণিত আছে। তিনি মধ্যমা এবং শাহাদাত আঙুলে আংটি পরতে সরাসরি নিষেধ করেছেন (মুসলিম)। খুব সম্ভব রসুলের (সা.) কাছে একাধিক আংটি ছিল। এর কোনোটি ছিল রুপার, আবার কোনোটি ছিল লোহার, যার ওপর রুপার পাত মোড়ানো ছিল। লেখক : সাংবাদিক
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১