আপডেট : ০২ July ২০১৮
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার বা বাতিলের বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে বিবেচনাধীন আছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে সক্রিয় বিবেচনাধীন আছে। আমাদের পর্যায়ে এখনো আসেনি। তবে আপনারা যত সহজভাবে এটা বিশ্লেষণ করছেন, তত সহজ নয়। জটিলতা আছে। অনেক বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত আসবে। আমরা সেই আলোকে কার্যক্রম নেব।’ সচিবালয়ে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব এসব কথা বলেন। সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। গত মার্চ মাসে আন্দোলনের একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে পুলিশ। পরে গত ৮ এপ্রিল ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করলে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে মারলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ওই ঘটনার পরদিন এই আন্দোলন সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ওই পরিস্থিতিতে ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের কথা বলেন। কোটা নিয়ে সরকারি কোনো প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় গত শনিবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। আজও বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এসব হামলা ছাত্রলীগ চালিয়েছে বলে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন। সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে বর্তমানে ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হয় অগ্রাধিকার কোটায়। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধা কোটায়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতেও আছে বিভিন্ন ধরনের কোটা।
সিদ্ধান্ত জানাতে কতদিন সময় লাগতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা অনুমান করা কঠিন। একটু সময় লাগবে মনে হচ্ছে।’
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১