আপডেট : ৩০ June ২০১৮
চাঁদা না পেয়ে পাবনার ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবদুস সবুর খানকে মারধর করেছেন উপজেলা ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। বৃহস্পতিবার বিকালের এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার ৩০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি ও সাধারণ সম্পাদক সুমন দাস এবং কলেজ শাখার সভাপতি খন্দকার আরমান ও সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হাসানসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুরালী মোহন বলেন, ভর্তির দায়িত্বে থাকার কারণে মারপিটের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। পরে এসে দেখি অধ্যক্ষের রুমে ভাঙচুর করা হয়েছে। কলেজের উপাধ্যক্ষ আবদুল জলিল বলেন, ছাত্রলীগ নেতারা কলেজের প্রসপেক্টাস ও পাঠ্যসূচি প্রিন্ট করে কলেজ কর্তৃপক্ষকে দিয়ে বিক্রি করতে বাধ্য করায়। বিক্রির যাবতীয় অর্থ তারা নিয়ে যায়। আমরা এসব কাজের বিরোধিতা করলেই আমাদের ওপর নির্যাতন নেমে আসে। ওইদিন আমাদের মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করে তারা। আমি শুধু অধ্যক্ষের গায়ে হাত তুলতে নিষেধ করায় তারা আমার গলা চেপে ধরে। তিনি আরো বলেন, আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতা ও মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে এখানে আছি। কিছু বলতেও পারছি না, সহ্যও করতে পারছি না। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, ভূমিমন্ত্রীপুত্র তমাল বাহিনীর ক্যাডার ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব, সুমন, আরমান, সাব্বিরদের অত্যাচারে দীর্ঘদিন ধরে অতিষ্ঠ পুরো ঈশ্বরদীবাসী। তারই ধারাবাহিকতায় তারা কলেজেও ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি খন্দকার আরমান বলেন, স্যাররা সম্প্রতি ভর্তি ও ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছিলেন। আমরা এর প্রতিবাদ করলে শিক্ষকরা আমাদের ওপর চড়াও হন। এখানে চাঁদা দাবির তো কোনো প্রশ্নই আসে না। ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি, ওইদিন কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে উচ্চস্বরে বািবতণ্ডার কথা স্বীকার করলেও মারধরের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান। কয়েকজন শিক্ষক কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ছাত্রলীগ নেতাদের কথামতো কাজ না করায় তারা এ হামলা করে। তাদের অন্যায় দাবি মেনে না নেওয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি, সাধারণ সম্পাদক সুমন, কলেজ শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের ক্যাডার বাহিনী নিয়ে অধ্যক্ষের রুমে গিয়ে হামলা চালায়। এ সময় সিসিটিভি, অফিস টেবিলের কাচসহ আসবাব ভাঙচুর করে। অধ্যক্ষসহ উপস্থিত শিক্ষকদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবদুস সবুর খান বলেন, সরকারি কাজে বাধাদান, জীবনের নিরাপত্তা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা করেছি। এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ওসি আজিম উদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১