আপডেট : ৩০ June ২০১৮
বিসিএসসহ সরকারি সব চাকরিতে বিদ্যমান কোটাপ্রথা বাতিলে ‘সরকারি ঘোষণা বাস্তবায়ন না করার’ অভিযোগে ফের আন্দোলনে নামতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করতে পারে কোটা আন্দোলনের প্লাটফর্ম ‘সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।’ গতকাল শুক্রবার দুপুরে অনলাইনকেন্দ্রিক সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান শনিবারের সংবাদ সম্মেলন ডাকার কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনকে ‘প্রতিহত করতে বিভিন্ন মহল ষড়যন্ত্র করছে’ অভিযোগ করে এতে শিক্ষার্থীদের দলবেঁধে অংশ নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। সংগঠনটির দুজন নেতা জানান, ‘সংবাদ সম্মেলন থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।’ সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘আমরা পাঁচ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছি। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। কোটা সংস্কার বিষয়ে প্রজ্ঞাপনের আশ্বাস এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা বুঝতে পারছি, সহজে দাবি আদায় হবে না। শনিবার সংবাদ সম্মেলন আছে, সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’ এর আগে কোটাপ্রথা বাতিলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সর্বশেষ কর্মসূচি ছিল পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন। গত ১৪ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে রমজান মাসের কারণে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। ওই সময় বলা হয়েছিল, কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে ঈদের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এর জন্য ঈদের পর থেকে ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে প্রচারও চলছিল। এর মধ্যে গত বুধবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান-সন্ততির জন্য কোটা থাকার বিষয়টি সমর্থন করেন। গত ৮ এপ্রিল থেকে চার দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে। ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটাপদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করেন। এখন শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর প্রায় আড়াই মাস কেটে গেছে। কোটা নিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন সরকার জারি করেনি। কবে হবে, এরও কোনো ইঙ্গিত নেই।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১