আপডেট : ২৪ June ২০১৮
হিজড়া সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের জন্য তাদেরকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। গতকাল শনিবার সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী আরো জানান, দেশের মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হিজড়া সম্প্রদায়। তবে দেশে বর্তমানে হিজড়া জনগোষ্ঠীর কোনো জরিপ নেই। সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশে হিজড়ার সংখ্যা ১১ হাজার ৩৯ জন। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী হিজড়া সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের জন্য তাদের যেসব ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে সেগুলো হলো- হেয়ারকাটিং, বিউটিফিকেশন, ড্রাইভিং, মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ, এসি, অটোমোবাইল, সিকিউরিটি গার্ড, আনসার, ভিডিপি, নার্সিং, ওয়ার্ড বয়, কৃষি, মৎস্য ও পশুপালন, কম্পিউটার, সেলাই, কাটিং, ব্লক, বাটিক ও হস্তশিল্প। এসব ট্রেডে ৫০ দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রশিক্ষণ শেষে হিজড়াদের পুনর্বাসনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়। চলতি অর্থবছরে ২ হাজার ৫০০ প্রবীণ হিজড়াকে (৫০-ঊর্ধ্ব) মাসিক ৬০০ টাকা হারে বিশেষ ভাতা দেওয়া হয়েছে। ১ হাজার ৩৫০ জন হিজড়া শিশুকে ৪ স্তরে (প্রাথমিক স্তর-৩০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তর-৪৫০, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর-৬০০ এবং উচ্চতর স্তরে ১ হাজার টাকা) উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। সংরক্ষিত নারী আসনের উম্মে রাজিয়া কাজলের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩ এবং নিউরো ডেভেলপমেন্টাল সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত আইন দুটির বিধিমালা ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। বিধিমালা অনুযায়ী জাতীয় প্রতিবন্ধী বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমাজের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১