আপডেট : ২০ June ২০১৮
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দু’পক্ষের হামলা-পাল্টাহামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতর আলী মিয়ার ছেলে নিহত আল-আমিন মিয়ার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কাকাইলছেও ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল হক ভূঁইয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিসবাহ উদ্দিন ভূইয়াসহ ১১ জন আটক হয়েছে। আটককৃতদের হবিগঞ্জ সদর থানায় সেভ কাস্টরিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মো. ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, তাদের কাউকেই এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। নিহতের পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মামলা দায়েরের পর বলা যাবে কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীষ দাশ জানান, রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নমুনা নেওয়া হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। নিহতের চাচাতো ভাই মো. সাবিন মিয়া জানান, তৃণমূলের ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী মনোনীত করার দাবি করেছিলেন আল-আমিন। এজন্যই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, আটককৃত জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কাকাইলছেও ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল হক ভূঁইয়া ও তার ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিসবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাদেরকে সদর আধুনিক হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকিদের সদর থানায় আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আতর আলী মিয়া গত ৩০ এপ্রিল হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর পদটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ১১ জুন এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৪ জুন মনোনয়নপত্র দাখিলের তারিখ। ২৬ জুন বাছাই, ৩ জুলাই প্রত্যাহার ও ২৫ জুলাই ভোটগ্রহণ। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের তিনজনের নাম প্রস্তাব করে পাঠানোর জন্য বলেন। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ গত সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে বর্ধিত সভায় বসে। উপজেলা সভাপতি মিসবাহ উদ্দিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার আলীর পরিচালনায় সভায় উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতি মিসবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা হাসান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতর আলী মিয়ার ছেলে আল-আমিন ও রানা রায় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে নিজেরা প্রার্থী হওয়ার জন্য ঘোষণা দেন। কেউই ছাড় দিতে রাজি হননি। এ সময় মিসবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ও আল-আমিনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সভায় হট্টগোল শুরু হলে একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে নেতাকর্মীরা হামলা-পাল্টাহামলায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় আল-আমিন ঘটনাস্থলে মারা যান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তার পক্ষের লোকজন হামলা চালালে কয়েক দফায় হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১