আপডেট : ১৯ June ২০১৮
ঈদুল ফিতরের ছুটিতেও পাহাড়ে খুনোখুনির ঘটনা ঘটেছে। ছুটির তিন দিনে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে যথাক্রমে তিন খুনের ঘটনা ঘটেছে। দুই জেলায় গত শুক্র, শনি ও রোববার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-এমএন লারমা) তিন সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সর্বশেষ রোববার সন্ধ্যায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নে সুরেন বিকাশ চাকমাকে (৫৫) হত্যা করা হয়। তিনি রূপকারী ইউনিয়নের দোখাইয়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় প্রসিত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে জেএসএস (এমএন লারমা)। তবে ইউপিডিএফ বরাবরের মতো অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জেএসএস (এমএন লারমা)-এর তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিজ বাড়িতে আমাদের কর্মী সুরেনকে হত্যা করে ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে হত্যা ও ত্রাসের রাজনীতি সৃষ্টি করেছে।’ অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর মুখপাত্র মাইকেল চাকমা বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই। এটা তাদের অন্তঃকোন্দলও হতে পারে।’ বাঘাইছড়ি থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, ‘রূপকারী ইউনিয়নে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহতের খবর পেয়েছি।’ এর আগে গত শুক্রবার রাঙামাটির লংগদুতে জংগলী চাকমা এবং শনিবার খাগড়াছড়িতে বিজয় ত্রিপুরা নামে জেএসএসের (এমএন লারমা) দুই কর্মী গুলিতে নিহত হন। রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে গত ছয় মাসে পাহাড়ের চার আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র বিরোধে এ নিয়ে ২৮ জনের প্রাণ গেছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১