আপডেট : ০৮ June ২০১৮
আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে সাময়িক ও নিঃশর্ত অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। রমজান মাসের শেষ এবং ঈদের কথা বিবেচনা করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তালেবানের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। খবর বিবিসি। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি জানান, আগামী ২০ জুন পর্যন্ত এ অস্ত্রবিরতি কার্যকর থাকবে। তবে আইএসসহ অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। যদিও আফগান সরকারের অভ্যন্তরে এ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। সম্প্রতি কাবুলে তালেবান হামলা নিয়ে ইসলামী চিন্তাবিদদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন আফগান সরকার। এরপরই অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে ইসলামী চিন্তাবিদরা তালেবানের সঙ্গে অস্ত্রবিরতির সুপারিশ করেছিলেন। সে সুপারিশ অনুমোদন করে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ঘানি। বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার পর একটি টুইটে প্রেসিডেন্ট লেখেন, এ অস্ত্রবিরতি তালেবানের উপলব্ধির জন্য একটি সুযোগ। তাদের বুঝতে হবে সহিংস প্রচারণা দিয়ে হূদয়কে জয় করা যায় না বরং তা আরো বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আফগানিস্তানের সাবেক সেনা কর্মকর্তা আতিকুল্লাহ আমারখেল। তিনি আশঙ্কা করছেন, এ অস্ত্রবিরতি তালেবানকে পুনঃসংগঠিত হওয়ার সুযোগ করে দেবে। এর মধ্য দিয়ে তারা আরো হামলা চালানোর জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার সময় পাবে। ২০০১ সালে তৎকালীন আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা তালেবানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এ অভিযান শেষ হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী এখনো আফগান সেনাদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। দেশটিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৮ হাজার ৪০০ সেনা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে তালেবানকে একটি বৈধ রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দেন ঘানি। এর মধ্য দিয়ে ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তার মতে, শান্তি আলোচনায় আসতে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করতে হবে এবং তালেবানকে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত হতে হবে। যদিও তার এ উদ্যোগ এখনো আশার আলো দেখায়নি।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১