আপডেট : ০৭ June ২০১৮
২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকছে শিক্ষা খাতে। এ খাতের জন্য ৫৩ হাজার ৫৪ কোট টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এখানে অবকাঠামো নির্মানের জন্য বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে টাকার অঙ্কে মোট বরাদ্দ করা হয়েছে ২২ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীনে ২৪ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেটে ৭ হাজার বিদ্যালয় নির্মাণ, ৬৫ হাজার শ্রেণিকক্ষ, ১০ হাজার ৫০০টি শিক্ষক কক্ষ, ৫ হাজার বিদ্যালয়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ ও ৩০ হাজার খেলার সামগ্রী বিতরণ করা হবে। তাছাড়াও যেসব এলাকায় বিদ্যালয় নেই সেই সমস্ত এলাকায় এক হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। ৬৪ জেলায় ৬৪টি জীবিকায়ন ও জীবনব্যাপী শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনাও আছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। চলমান প্রশিক্ষণের বাইরে ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য গণিত অলিম্পিয়াডের কৌশল প্রয়োগ করে গণিতভীতি দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেট প্রস্তাবনায় থাকছে চারটি বিভাগীয় শহরে চারটি মহিলা পলিটেকনিক, প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে বালিকা কারিগরি বিদ্যালয়, ২৩টি জেলায় পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট স্থাপন এবং সব বিভাগে একটি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ। তাছাড়াও ৬৫৩টি মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে আগামী অর্থবছরের জন্য উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা যাবে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি)।
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১২ বার বাজেট উপস্থাপন করলেন ৮৫ বছর বয়সী মুহিত।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১