আপডেট : ০৭ June ২০১৮
প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ খাতে ২৪ হাজার ৯২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগে ২২ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা এবং জ্বালানী বিভাগে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। বিদুৎ ও জ্বালনি খাতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ১৮ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। পরে তার সংশোধনীতে গিয়ে দাঁড়ায় ২৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে মাত্র ৬৬০ কোটি টাকা। জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতায় গ্যাসের উন্নয়ন বাড়ানোর লক্ষ্যে ৪টি ওয়ার্কওভার কূপ, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উৎপাদিত গ্যাস ও আমদানিতব্য এলএনজি গ্যাসীয় ফর্মে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের জন্য বিভিন্ন স্থানে ৫৪ কিলোমিটার সঞ্চালন পাইপলাইন সম্প্রসারণের কথা বলা হয়। মুহিত নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য ৩ হাজার লাইন ২-ডি ও ৫৫০ বর্গ কিলোমিটার ৩-ডি সাইচমিক সার্ভে, ইস্টার্ন রিফাইনারির পরিশোধন সক্ষমতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তার বক্তৃতায়। তার উপস্থাপন অনুযায়ী, প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ বিভাগে পরিচালনে ৪৩ কোটি এবং উন্নয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা। এ খাতে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৬ হাজার মেগাওয়ার্ট থেকে ১৯ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, গ্যাসের স্বল্পতার কারণে এলএনজি-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, নবায়নযোগ্য জ্বালানী থেকে ৫’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি নতুন সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন স্থাপন এবং বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আর জ্বালানী খাতের পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৫ কোটি টাকা। এখাতে উন্নয়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে আগামী অর্থবছরের জন্য উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা যাবে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি)।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১