বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৫ June ২০১৮

গাজার শিশুদের ঘুমেও তাড়া করে যুদ্ধবিমান

৫০ শতাংশের ওপর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ফলে সমাজে শিশুদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ইন্টারনেট


অবরুদ্ধ গাজার শিশুদের একটি প্রজন্ম ব্যাপক মানসিক স্বাস্থ্য সঙ্কটে ভুগছে। গত রোববার এক বিবৃতিতে শিশুবিষয়ক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এমন তথ্য জানায়। সংস্থাটির উচ্চপদস্থ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মার্সিয়া ব্রোফির মতে, গাজার শিশুদের একটি প্রজন্ম এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যেখানে নতুন কোনো কোনো আঘাত তাদের জীবনে দীর্ঘমেয়াদি ভয়াবহতা নিয়ে আসতে পারে। খবর আলজাজিরার।

সেভ দ্য চিলড্রেন সম্প্রতি গাজার দেড় শতাধিক কিশোর-কিশোরীর ওপর এক সমীক্ষা চালায়। দেখা যায় সমীক্ষার ৯৫ শতাংশ শিশুদের মধ্যে হতাশা, একা থাকার প্রবণতা, আগ্রাসী মনোভাব এবং উন্মত্ততা আশঙ্কাজনক হারে রয়েছে।

২০০৮ থেকে ২০০৯ এবং ২০১২ থেকে ২০১৪ সালে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন প্রত্যক্ষ করেছে অনেক শিশু। এ ছাড়া গত ১১ বছর ধরে মিসর এবং ইসরাইল গাজায় অবরোধ জারি করে রাখায় সেখানকার জীবন যাপনের পরিস্থিতিও আর স্বাভাবিক নেই। এই অস্বাভাবিকত্বের মধ্যে শিশুরা বাধ্য হয়েই এমন অনেক কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে যা তাদের করার কথা নয়। এ ছাড়া সেখানে ৬০ শতাংশের বেশি বেকারত্ব এবং ৫০ শতাংশের ওপর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ফলে সমাজে শিশুদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর জেনিফার মুরহেডের মতে, গাজার শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং সমস্যার শেকড় চিহ্নিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেক কিছু করার আছে। বাস্তবতার কারণে ওই অঞ্চলে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া যাচ্ছে না বলেও তিনি জানান।

গত শুক্রবার জাতিসংঘে গাজা ইস্যুতে কুয়েত প্রস্তাবিত একটি বিল আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। গত দুমাস ধরে গাজা-ইসরাইল সীমান্তে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে আসছে। কিন্তু এরই মধ্যে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক হাজার আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৪ জন শিশু রয়েছে যাদের নির্মমভাবে ইসরাইলি বাহিনী গুলি করে হত্যা করে।

সমীক্ষায় দেখা যায়, গাজা এবং পশ্চিম তীরের অধিকাংশ শিশুই সবসময় একটা আতঙ্কে থাকে কখন তারা হামলার শিকার হবে। এমনকি ঘুমের মধ্যেও তাদের গুলির শব্দ থেকে শুরু করে বিমান হামলার সাইরেনের শব্দ তাড়া করে। এই ভয় শিশুদের প্রতিদিনকার জীবনযাপনে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলছে বলেও গবেষকরা মনে করেন।

মুরহেড আরো বলেন, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না যে ফিলিস্তিনের শিশুরা এমন পরিবেশের মধ্যে বেড়ে উঠছে। বর্তমানের অস্থিরতা তাদের আগামী দিন নষ্ট করে দিচ্ছে। শিশুরা এর চেয়েও অনেক ভালো পরিবেশ পাওয়ার যোগ্য।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১