আপডেট : ০১ June ২০১৮
চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার টেরিবাজারে অভিযান চালাতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পড়েছে চোরাচালানবিরোধী টাস্কফোর্স। এ সময় ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। ব্যবসায়ীরা টাস্কফোর্স সদস্যদের ওপর হামলার চেষ্টা করলে টাস্কফোর্সের সঙ্গে থাকা কোস্টগার্ড সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফাঁকা গুলির সময় ছোটাছুটি করতে গিয়ে ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে অভিযান না চালিয়েই ফিরে যেতে হয় টাস্কফোর্স সদস্যদের। টাস্কফোর্সের যৌথ টিমে ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর, র্যাব-৭ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে টাস্কফোর্সের সদস্যরা কয়েকটি দোকানে গিয়ে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে কাপড় জব্দ করা শুরু করেন। এ সময় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের বািবতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা রূপ নেয় হাতাহাতিতে। দুপুর ২টার দিকে ‘মনে রেখ’, ‘স্টার প্লাস’ ও ‘মেগা মার্ট’ নামে তিনটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা সড়কে নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন শতাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মী। এ সময় সড়ক জুড়ে সৃষ্টি হয় যানজট। এ সময় ব্যবসায়ীরা হামলার চেষ্টা করলে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে কোস্টগার্ড সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এ সময় ছোটাছুটি করতে গিয়ে আহত হন ১৫ জন। একপর্যায়ে টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয় থেকে সব দোকান বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাইফুল জানান, টেরিবাজারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশি শাড়ি কাপড় আনা হয়। টাস্কফোর্স এসব অবৈধ কাপড় জব্দ করতে অভিযান চালায়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এ সময় উত্তেজিত হয়ে পড়েন। অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাব-৭-এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আশেকুর রহমান বলেন, শুল্ক ফাঁকি দেওয়া কাপড় জব্দ করতে অভিযান চালাতে গেলে ভুল বোঝাবুঝি থেকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে টাস্কফোর্স সদস্যদের বািবতণ্ডা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ হোসাইন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘ঈদের মৌসুমে যখন লাখ লাখ মানুষ টেরিবাজার থেকে কেনাকাটা করছে ঠিক সে সময়ে এ ধরনের অভিযান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ব্যবসায়ীরা তাই এ অভিযানের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বৈধ কাগজপত্র দেখানোর পরও কাপড় জব্দ করার সুযোগ নেই। কিন্তু তারা অনেক দামি কাপড় জব্দ করেছে। তিনি আরো বলেন, টেরিবাজারে প্রায় দুই হাজার কাপড়ের দোকান রয়েছে। এটি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মার্কেট। মধ্য ও নিম্নবিত্তরাই এ মার্কেটের প্রধান গ্রাহক। প্রশাসন গরিবের মার্কেটেই অন্যায়ভাবে অভিযানের নামে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১