আপডেট : ২৮ May ২০১৮
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত সময়েই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শনিবার এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প জুনের ১২ তারিখ সিঙ্গাপুরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এবং প্রয়োজনে নির্দিষ্ট তারিখের বাইরেও বৈঠক হওয়ার সম্ভবনার কথা জানান। খবর বিবিসির। এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিনি কিম জং উনকে লিখিত এক চিঠির মাধ্যমে বৈঠক বাতিল করেছিলেন। কিন্তু ওই চিঠির উত্তরে উত্তর কোরিয়া জানায়, তারা এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে বৈঠকে আগ্রহী। শনিবার হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্মেলন অনুষ্ঠিত করার ব্যাপারে আমরা ভালোই আগাচ্ছি। জুনের ১২ তারিখ সিঙ্গাপুরের দিকে তাকিয়ে আমরা। সময় পরিবর্তিত হয়নি। দেখাই যাক সামনে কী হয়। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা যায়, চলতি সপ্তাহেই ট্রাম্প প্রশাসনের একটি দল সিঙ্গাপুরে যাবেন বৈঠকের প্রস্তুতি নিতে। এদিকে কোনো প্রকার পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই গত শনিবার দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী গ্রাম পানমুনজমে দ্বিতীয়বারের মতো মিলিত হয়েছিলেন মুন এবং কিম। দুই নেতার মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা বিস্তারিত কোনো পক্ষ থেকেই প্রকাশ করা হয়নি। তবে ওই বৈঠকের পরই মূলত ট্রাম্প এবং উনের বৈঠক সম্পর্কিত সুর পাল্টে যায়। কিম-মুন বৈঠকের পর গতকাল রোববার মুন জায়ে ইন সাংবাদিকদের জানান, কোরীয় উপদ্বীপকে পুরোপুরি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে আবারো সম্মত হয়েছেন কিম জং উন। তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান কিম এবং আমি কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছি। তিনি দুই কোরিয়ার মধ্যকার ঐতিহাসিক যুদ্ধ বন্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধির ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। ট্রাম্পের সর্বশেষ টুইটবার্তার পর প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সংবাদে আলোচনায় আবারো প্রাণ ফিরে এসেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, পূর্ণ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বলতে মূলত কী বোঝানো হচ্ছে তা এখনো পরিষ্কার করে কোনো পক্ষই বলেনি। এমনকি মুন জায়ে ইন পর্যন্ত সাংবাদিকদের করা প্রশ্ন এড়িয়ে যান। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের মূল দাবি উত্তর কোরিয়ার পূর্ণ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ। কিন্তু উত্তর কোরিয়া কি শুধু অর্থনৈতিক অবরোধ উঠিয়ে নেওয়ার বিনিময়ে তার সকল পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করবে কি না তা নিশ্চিত নয়। গত এপ্রিলে মুন জায়ে ইনের সঙ্গে বৈঠক থেকে পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন কিম। এরপর গত বৃহস্পতিবার পুঙ্গি-রি পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্র ধ্বংস করে দেয় উত্তর কোরিয়া। ২০০৬ সাল থেকেই উত্তর কোরিয়ার ওপর একের পর এক অবরোধ জারি করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। বিশেষত উত্তর কোরিয়ার তেল রফতানির ওপর সবচেয়ে বেশি অবরোধ জারি করা হয়। আন্তর্জাতিক খ্রিস্টান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিফেন ন্যাগির মতে পিয়ংইয়ং ওয়াশিংটনের কাছ থেকে সুবিধা নিতে চাইছে। উত্তর কোরিয়া পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারবে বলেও তিনি মনে করেন। তবে অন্যান্য বিশ্লেষকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বৈঠক অনুষ্ঠিত না হলে চীনের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১