আপডেট : ২২ May ২০১৮
আরো দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারা হলেন সহকারী পরিচালক এসএম শামীম ইকবাল ও বীরকান্ত রায়। গতকাল সোমবার কমিশনের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইকবালকে চূড়ান্ত ও বীরকান্তকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দুদকের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শামীম ইকবাল সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনায় কর্মরত অবস্থায় একটি দুর্নীতি মামলার চার্জশিট এক বছরের বেশি সময় আদালতে দাখিল না করে নিজ হেফাজতে রেখে দেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়; সেই সঙ্গে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এ প্রেক্ষাপটে গত ২০ মে তাকে চাকরি থেকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়। ফলে তিনি অবসরজনিত কোনো আর্থিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। শামীম ইকবাল সর্বশেষ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমন্বিত জেলা কার্যালয় দিনাজপুরে কর্মরত সহকারী পরিচালক বীরকান্ত একটি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি মামলায় তদন্ত কার্যক্রমে এক বছরের বেশি (৩৮৪ দিন) সময়ক্ষেপণ করেন। দুদক তদন্ত করে প্রমাণ পায় যে, বীরকান্ত কোনো না কোনোভাবে আসামি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তদন্ত কার্যক্রমে বিলম্ব করেছেন। এ অপরাধে তাকে গতকাল চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাবেক সিনিয়র সচিব ইকবাল মাহমুদ ২০১৬ সালের মার্চে দুদক চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ার পর কমিশনের অভ্যন্তরীণ শুদ্ধি অভিযানে এর আগে অন্তত ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাধ্যতামূলক প্রেষণ, শাস্তিমূলক বদলি, পদাবনতি, সাময়িক বরখাস্ত এবং চূড়ান্ত বরখাস্ত। এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মুনীর চৌধুরী বলেন, দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে জড়িয়ে না যায় তা নিশ্চিত করতে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক অনুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১