বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২০ May ২০১৮

দিনে ৫০ লাখ কর্মঘন্টা নষ্ট

যানজটে বছরে ক্ষতি ৩৭ হাজার কোটি টাকা

যানজটে দিনে নষ্ট হয় ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা সংরক্ষিত ছবি


রাজধানী ঢাকায় যানজটে দিনে নষ্ট হয় ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা। বছরে এই কর্মঘণ্টা নষ্টের আর্থিক ক্ষতি প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা। আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি যানজট শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলছে।

গতকাল শনিবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ‘গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং যানজট নিরসনে পরিকল্পনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব তথ্য উঠে আসে। বুয়েট অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডক্টর মোয়াজ্জেম হোসেন, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক সরওয়ার জাহান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এম আকাশ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের রোড সেক্টরের পরিচালক মাহাবুবুর রহমান। এতে বিভিন্ন সেক্টরের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন এবং মতামত তুলে ধরেন।

বক্তারা বলেন, ঢাকায় পরিবহন সেবা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল। এরপরও গণপরিবহনে চলছে বিশৃৃঙ্খলা। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন আলোচকরা। তারা বলেন, যানজটের কারণে কর্মজীবী মানুষ প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নেওয়ার সময় পাচ্ছেন না। উদাহরণ তুলে ধরে আলোচকরা বলেন, ব্যস্ত সময়ে ঢাকায় গড়ে যাত্রীবাহী যান ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার গতিতে চলছে। হেঁটে চললে এই গতিতে কোথাও পৌঁছানো যায়। দীর্ঘ সময় সড়কে আটকে থাকায় মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ছে। সেই সঙ্গে মানসিক দিক থেকে চাপে পড়ছে নগরবাসী।

মূল বক্তব্যে বুয়েট অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডক্টর মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সড়কে যত দুর্ঘটনা হচ্ছে এর ৭৪ শতাংশ ঘটছে রাস্তা পারাপারের সময়। এ ছাড়া রিকশার অপরিকল্পিত চলাচলও যানজটের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, যানজট নিরসনে দরকার সমন্বিত পদক্ষেপ। এ উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে। রিকশা নিয়ন্ত্রণসহ সব ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে হকারদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে পরিবহন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দেন তিনি।

মোয়াজ্জেম হোসেন আরো বলেন, ঢাকা মহানগরীতে এখন সব মিলিয়ে বাসের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। এতে দৈনিক ৩০ লাখ যাত্রী যাতায়াত করে। কিন্তু এই সাত হাজার বাসের (মিনিবাস) পরিবর্তে বড় আকারের বাস আড়াই হাজার দিলেই এই সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব। এ ছাড়া রাজধানীতে মাত্র তিনটি বড় সড়ক আছে। যানজট কমাতে এর সংখ্যাও বাড়াতে হবে। রাজধানীর ওপর চাপ কমাতে নারায়ণগঞ্জ, সাভার, টঙ্গী, গাজীপুরের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, অফিস সময়ের আগে ও পরে ১০ মিনিট পরপর এসব রুটে ট্রেন ছাড়লে কর্মজীবী মানুষ রাজধানী ঢাকার বদলে লাগোয়া শহরগুলোতে বসবাস করবে বলে মনে করেন মোয়াজ্জেম হোসেন।

বিআরটিএ’র রোড সেক্টরের পরিচালক মাহাবুবুর রহমান বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ৪০ হাজার দক্ষ গাড়িচালক গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা শুরু করা হচ্ছে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১