আপডেট : ০৮ May ২০১৮
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে সোমবার আরো দশজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন চারজন। নিহতদের মধ্যে শেরপুরে চার, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে দুজন করে, সুনামগঞ্জ ও কুমিল্লায় একজন করে রয়েছেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হওয়া ঝড় ও বজ্রবৃষ্টিতে তাদের প্রাণহানি ঘটে। এদিকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে বজ্রপাতে ১০টি মহিষ মারা গেছে এবং আহত হয়েছে দুই রাখাল। আমাদের জেলা প্রতিনিধিরা এসব হতাহতের সংবাদ পাঠিয়েছেন। শেরপুর : পৃথক বজ্রপাতে স্কুলছাত্রী ও তিন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- নালিতাবাড়ী উপজেলার পাঘারিয়া মির্জাবাজার গ্রামের হাফেজ সোহেল মিয়ার মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী শারমিন, সদর উপজেলার হালগড়া গ্রামের আকু শেখের ছেলে আবদুর রহিম, নকলা উপজেলার মোজারচর গ্রামের ওয়াহেদ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম ও শ্রীবরদী উপজেলার বকচর গ্রামের মো. কুব্বাত আলী। এর মধ্যে শারমিন প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে ও অন্যরা জমিতে কাজ করার সময় মারা যান। মৌলভীবাজার : পৃথক বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু এবং তিনজন আহত হয়েছেন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ও শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরে এসব ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার খলিলপুর গ্রামের ফয়েজ মিয়ার ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আবু সামাদ (১৫) ও শ্রীমঙ্গলের বরুনা গ্রামের ইসলাম মিয়ার ছেলে মফিজ মিয়া (৩০)। এ সময় রশিদ মিয়া (৩৮), রফিক মিয়া (৫০) ও নজির মিয়া (৬০) গুরুতর আহত হন। তারাও বরুনা গ্রামের বাসিন্দা। হবিগঞ্জ : বানিয়াচংয়ের দৌলতপুর ইউনিয়নের তেলঘড়ি হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন একজন। নিহতরা হলেন- উপজেলার কবিরপুর গ্রামের মৃত নাদু বৈষ্ণবের ছেলে অধীর বৈষ্ণব (২৭) ও তেলঘড়ি গ্রামের বীরেশ্বর বৈষ্ণবের ছেলে বসু বৈষ্ণব (৩২)। আহত কৃষ্ণধন বৈষ্ণব (৩২) ওই গ্রামের হরিচরণ বৈষ্ণবের ছেলে। সুনামগঞ্জ : শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওরে ধান মাড়াই করার সময় বজ্রপাতে নবকুমার দাস (৬৫) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। তিনি উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের বাসিন্দা। কুমিল্লা : নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে রাহেনা বেগম ( ৪০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব বামপাড়া গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাহেনা ওই বাাড়ির ছেরাজুল হক চৌধুরীর স্ত্রী। কাজিপুরে ১০ মহিষের মৃত্যু সিরাজগঞ্জ : কাজিপুর উপজেলার ঘোড়াগাছা চরে বজ্রপাতে ১০ মহিষের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় মহিষের বাথান দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা দুই রাখাল আহত হয়। সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। আহত নিবারণ ঘোষ ও নিমাই ঘোষকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাথানের মালিক দুলাল ঘোষ জানান, মারা যাওয়া ১০টি মহিষের মূল্য আনুমানিক ১০ লাখ টাকা।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১