বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৬ April ২০১৮

ইরানের সঙ্গে নতুন চুক্তির ইঙ্গিত ট্রাম্প-ম্যাখোঁর


ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর নতুন পরমাণু চুক্তি হতে পারে বলে গত মঙ্গলবার ইঙ্গিত দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। নতুন এই চুক্তিতে ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং মধ্যপ্রাচ্যে এর প্রতিনিধিত্ব ইস্যুর প্রসঙ্গও জায়গা পাবে বলে ম্যাখোঁর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।

ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা আরো বড় কিছুর দিকে আগাচ্ছি, খুব সম্ভবত চুক্তির দিকে। নতুন চুক্তি হবে মজবুত ভিত্তির ওপর। চুক্তিতে অবশ্যই ইয়েমেন, সিরিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।’ যদিও যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যমান চুক্তি থেকে বের হয়ে গেলে ওয়াশিংটনকে গুরুতর পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। ২০১৬ সালে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে করা ইরানের সঙ্গে ছয় জাতির পরমাণু চুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন। বিদ্যমান চুক্তিতে ইরান সংস্কার না আনলে আগামী ১২ মে তারিখের পর চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

মঙ্গলবারের বক্তব্যে ট্রাম্প আল্টিমেটামের সময়সীমা নিয়ে বলেন, ‘কেউ জানে না ১২ তারিখে আমি কী করতে যাচ্ছি। যদিও প্রেসিডেন্ট (ম্যাখোঁ) আপনার কিছু ভালো পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু আমরা যে সিদ্ধান্ত নিতে চাই তা কিছু মানুষ আশা করে। সম্ভব হোক বা না হোক একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর নতুন চুক্তি সম্ভব। কারণ বর্তমান চুক্তি ভঙ্গুর ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এটা একটা বাজে চুক্তি। এমন চুক্তি কখনোই করা উচিত নয়।’

তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বিদ্যমান চুক্তিতে আস্থাশীল থাকতে ট্রাম্পকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছে সিএনএন। ট্রাম্প তার আল্টিমেটামের সময়সীমা বাড়াবে কি না সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে না পারলেও ম্যাখোঁ বলেন, ‘আমি বলতে পারি যে আমরা দু’জন বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করছি।’

চুক্তির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে ম্যাখোঁ আরো বলেন, ‘আমি কখনো জেসিপিওএ নিয়ে সমালোচনা করিনি যেমনটা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করছেন। কারণ আমি বিশ্বাস করি যে আমরা চুক্তিতে সংযোজন করতে পারব। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত না জেনে, আমি সবাইকে নিয়ে বর্তমান জেসিপিওএ বাস্তবায়ন করার পক্ষে।’

এদিকে সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে আগামী শুক্রবার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন। এই সফরে তিনি ট্রাম্পকে চুক্তি প্রত্যাখান না করতে প্রভাবিত করবেন। কারণ ইতোমধ্যেই ইরানের পক্ষ থেকেও পাল্টা হুমকিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে গেলে ইরানও চুক্তি থেকে সরে আসবে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিল করলেও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করতে চাইছেন। ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং ইউরোপ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তন হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তবে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে নতুন দিক উন্মোচিত হতে পারে। কারণ ইতোমধ্যেই ইরানের সঙ্গে ট্রাম্পের পরমাণু চুক্তি বাতিল ইস্যুতে নাখোশ ইউরোপীয় দেশগুলো।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১