আপডেট : ২১ April ২০১৮
ভারতের মন্ত্রিসভায় ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে সর্বোচ্চ শাস্তির প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। শাস্তি হিসেবে ১২ বছরের কম বয়সের শিশু ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ইউনিয়ন কেবিনেটে শনিবার ওই অধ্যাদেশ পাশ হয়। জম্মু ও কাশ্মিরের কাঠুয়ায় আট বছরের শিশু আসিফাকে অপহরণ, মন্দিরে আটকে রেখে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটে এ বছরের জানুয়ারিতে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মন্দিরের পরিচালক এবং চার পুলিশ সদস্যসহ মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে ভারত জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে এপ্রিলের শুরুতে জম্মুর হিন্দু অধিকার রক্ষাকারী কয়েকটি সংগঠন অভিযুক্তদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে নিন্দিত হয়। নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক ইউনিয়ন মন্ত্রী মানেকা গান্ধী মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাব পেশ করেন। এর আগে ২০১২ সালে দিল্লিতে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনার পর একই প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। সেসময় মন্ত্রিসভায় ওই প্রস্তাব অনুমোদন পায়নি। ভারতের বর্তমান আইন অনুযায়ী অপ্রাপ্ত বয়স্ক ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন এবং সর্বনিম্ম সাজা সাত বছরের কারাদণ্ড। ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে জানুয়ারিতে কেন্দ্র সরকারের এক আইন কর্মকর্তা সুপ্রিম কোর্টে বলেছিলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড সবকিছুর উত্তর নয়।’
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১