বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২১ April ২০১৮

১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ডিম সংগ্রহের রেকর্ড

হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ

হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ ছবি : সংগৃহীত


দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। চট্টগ্রামে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায় বিস্তৃত হালদা নদীর অংশ থেকে এ ডিম সংগ্রহ করেন জেলেরা। এ বছর মা মাছ ডিম ছাড়ার প্রথম দিনেই প্রায় ২২ হাজার ৬৮০ কেজি ডিম সংগ্রহ করেছেন তারা। গত দশ বছরের ইতিহাসে এটি ডিম সংগ্রহের সর্বোচ্চ রেকর্ড বলে জানিয়েছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই হালদা নদীর গড়দুয়ারা, নয়াহাট, কান্তার আলী চৌধুরীহাট, কাগতিয়া মোড়, মাছুয়াঘোনা, সিপাহীরঘাট, আজিমারঘাট, নাপিতেরঘাট, মাদার্শা বড়ুয়াপাড়া এলাকায় মা-মাছেরা ডিম ছাড়তে শুরু করে। রাত দেড়টার দিকে মা মাছ পুরোদমে ডিম ছাড়তে শুরু করে।

রাউজানের অংকুরিঘোষণা থেকে হাটহাজারীর নাপিতের ঘোণা পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এ সময় ডিম সংগ্রহকারীদের উৎসব বসে। ডিম সংগ্রাহকরা বংশপরম্পরায় শিখে আসা পদ্ধতিতে বিশেষভাবে তৈরি জাল দিয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ ডিম সংগ্রহ করে। জেলে পরিবারের প্রায় ১ হাজার সদস্য ৪০৫ নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহে অংশ নেয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরীয়া জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী, উপজেলা প্রশাসন, পল্লিকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন, আইডিএফসহ বিভিন্ন সংস্থা ডিম সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, এ বছর ডিম ছাড়ার প্রথম দিনেই প্রায় ২২ হাজার ৬৮০ কেজি ডিম সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরো জানান, গত ১০ বছরের তুলনায় এবারই সর্বোচ্চ ডিম সংগ্রহ হয়েছে। অন্য বছর বৈরী আবহাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে ডিম আহরণ করা হয়েছিল। এ বছর ভারী বৃষ্টিপাত ছিল না, পরিবেশ শান্ত ছিল বলেই আশানুরূপ ডিম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। প্রতি কেজি রেণু থেকে চার থেকে পাঁচ লাখ পর্যন্ত মাছের পোনা হবে। গত বছর এক কেজি রেণুর সর্বোচ্চ দর উঠেছিল এক লাখ টাকায়। এ বছরও ভালো দাম পাবেন ডিম সংগ্রহকারীরা।

রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মা মাছ ডিম ছাড়ার সময় ও পরে নজরদারি চলবে। কারণ মা মাছ ডিম ছাড়ার পর খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় এক শ্রেণির মানুষ মা মাছ শিকারের চেষ্টা করে। এ জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি জেলা পুলিশ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১