বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২০ April ২০১৮

বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার চায় আইএসপিএবি


আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা দিয়েছে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। এর মধ্যে বেশিরভাগ প্রস্তাবনায়ই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার এবং ক্ষেত্র বিশেষে কমানোর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

আইএসপিএবির প্রস্তাবনার প্রথমেই উৎসে কর কর্তন থেকে আইএসপি সেবাকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। বর্তমানে ইন্টারনেট সেবা থেকে প্রাপ্ত আয়ের বিপরীতে ১২ শতাংশ হারে কর কর্তন করা হয়। তবে সংগঠনটি বলছে যে হারে কর কর্তন করা হয়, তা এ খাতের বার্ষিক নেট মুনাফার তুলনায় বেশি। এ ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের বিধান থেকে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অব্যাহতি দেওয়া হলে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে প্রত্যয়নপত্র গ্রহণের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হলে ইন্টারনেট সেবা বিস্তারে প্রতিষ্ঠানগুলো আরো বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।

বর্তমানে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা প্রদানের জন্য স্থান এবং স্থাপনা ভাড়ার উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট কার্যকর রয়েছে। তবে এর ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ব্যয় অনেক বৃদ্ধি পায়। এ ভ্যাট অপসারণ করা হলে তথ্যপ্রযুক্তি খাত আরো এগিয়ে যাবে বলে মনে করে সংগঠনটি।

১৯৮৪ সালের আয়কর আইনের সংশোধনীতে তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর সেবার (আইটিইএস) যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাতে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানানো হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে। বর্তমানে আইটিইএস খাতে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা রয়েছে।

বর্তমানে ইন্টারনেট মডেম, ইথারনেট, ইন্টারফেস কার্ড, নেটওয়ার্ক সুইচ, হাব, রাউটার, সার্ভার, ব্যাটারিসহ বিভিন্ন ইন্টারনেট ইকুইপমেন্টের উপর ১০ শতাংশ হারে আবগারি শুল্ক বহাল রয়েছে, সেটি শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনা যেতে পারে বলেও মত দিয়েছে আইএসপিএবি। এ ছাড়া মডুলেটর, মাল্টিপ্লেক্সার, অপটিক্যাল ফাইবার প্ল্যাটফর্ম, নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রভৃতি পণ্যে আবগারি শুল্ক, ভ্যাট এবং অ্যাডভান্সড ট্রেড ভ্যাট (এটিভি) কমিয়ে শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনারও প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। এর বাইরে কোক্সিক্যাল ক্যাবল এবং অন্যান্য কোক্সিক্যাল ইকুইপমেন্টের উপর বিদ্যমান ১০৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ ভ্যাট কমিয়েও শূন্য শতাংশে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আইএসপিএবি বলছে, প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য নেটওয়ার্ক ইকুইপমেন্ট প্রয়োজন। তবে এসব ইকুইপমেন্টের উপর যে হারে কর আরোপ করা হয়েছে, সেটি ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি এ শিল্পের জন্য একটি বড় বাধা।

এর বাইরে করপোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আইসিটি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০ শতাংশ করা এবং এনটিটিএন সংযোগের উপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার ও ট্রান্সমিশন মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে এসব প্রস্তাবনায়। বর্তমানে এনটিটিএন সংযোগের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে যা অপসারণ করা হলেও গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম আরো কমানো সম্ভব হতে পারে বলে মনে করছে সংগঠনটি।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১