আপডেট : ১৮ April ২০১৮
ইরাকে প্রতি সাড়ে আট মিনিটে একজন যুদ্ধবন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। গত তিন বছরে ইরাকের বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে থাকা পরাজিত ইসলামিক স্টেট যোদ্ধা এবং তাদের সমর্থকদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তদের অপরাধ কতটা সত্যি তা যাচাইয়ের তোয়াক্কা না করেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে বলেও সংস্থাগুলো দাবি করেছে। জাতিসংঘের হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসের মতে, ইরাকের বিচার প্রক্রিয়া বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ইরাক ফর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক বিলকিস উইলি বলেন, ‘স্বতন্ত্র কিছুকেই আমলে আনা হচ্ছে না। রাঁধুনি, চিকিৎসাকর্মীসহ সবাইকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।’ যদিও দেশটির আইনমন্ত্রী এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বিচারকরা নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করেই বিচারিক প্রক্রিয়া পালন করছেন বলে দাবি করেন। বিচারক এবং আইন মন্ত্রণালয় মুখপাত্র আবদুল সাত্তার আল বিরকাদার বলেন, ‘তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলেই সন্দেহভাজনকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে এবং প্রমাণ না পাওয়া গেলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।’ এখন পর্যন্ত বাগদাদ প্রশাসন সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত বন্দিদের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করেনি। কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় দুই সাংবাদিক জানান, ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে এমন অভিযোগে ২০১৭ সাল থেকে ১৩ হাজার ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গত ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান মতে, আইএসের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে ২০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ইরাকি কর্তৃপক্ষ। গত মাসেই অ্যাসোসিয়েট প্রেসের রিপোর্টে ১৯ হাজার ব্যক্তিকে গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছিল।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১