আপডেট : ০৯ April ২০১৮
দরকার নেই মাটি কিংবা রোদের। তারপরও ফলবে সবুজ শাক-সবজি! অবাক হচ্ছেন? অবাক করার মতোই কাজটি করেছেন এক দল জার্মান বিজ্ঞানী। সম্প্রতি তারা সফলভাবে অ্যান্টার্কটিকার বরফ ঢাকা প্রান্তরে সবজি ফলিয়েছেন। গবেষকদের দাবি ভবিষ্যতে চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহের অভিযাত্রীদের জন্য কাজে আসবে এ গবেষণা। ডয়েচে ভেলের এক খবরে বলা হয়েছে, জার্মান এরোস্পেস সেন্টার বা ডিএলআরের একটি প্রকল্পের অধীনে পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যের আলো এবং মাটি ছাড়াই প্রথমবার সফলভাবে সবজি উৎপাদন করা হয়েছে বরফ সাম্রাজ্যে। নিউমেয়ার স্টেশন৩ থেকে ৪০০ মিটার দূরে এই গ্রিনহাউজ প্রকল্পটি গড়ে উঠেছে। এখানকার ১০ জন মানুষ এখন এই শাক-সবজির ওপর নির্ভরশীল। খবরে বলা হয়েছে, প্রথম তিন সপ্তাহের চেষ্টায় ডিএলআরের ইঞ্জিনিয়ার পল জাবেল ৩ দশমিক ৬ কেজি লেটুস, ৭০টি মুলা, ১৮টি শসা ফলিয়েছেন। এজন্য দিনে তিনি ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। জাবেল বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বীজ ফেলার পর, আমাকে বেশ কয়েকটি সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়েছে। কখনো যান্ত্রিক গোলযোগের সম্মুখীন হতে হয়েছে, কখনো বা পড়তে হয়েছে ঝড়ের মুখে। তবে সৌভাগ্যক্রমে সবকিছুই অতিক্রম করতে পেরেছি।’ এর আগে অবশ্য গ্রিনহাউজের সহায়তার মহাকাশ বা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সফলভাবে শাক-সবজি উৎপাদন করা হয়েছে। তবে এবার একেবারে সূর্যালোক ছাড়াই সাফল্য মিলেছে। এ কারণেই গবেষকরা আশা করছেন, অদূর ভবিষ্যতে চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহের অভিযাত্রীদের সতেজ খাদ্যভাণ্ডারের প্রয়োজন মিটতে পারবে এই সফলতায়। অ্যান্টার্কটিকার গ্রিনহাউজে ইতোমধ্যে র্যাডিশ, স্যালাড পাতা, টমেটো, শসা, গোলমরিচের পাশাপাশি তুলসী, পার্সলে, ধনেপাতার মতো হার্বের চাষও হচ্ছে। প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডানিয়েল শুবার্ট বলেন, ‘আমরা স্বপ্রজননক্ষম উদ্ভিদের সন্ধানও পেয়েছি। অ্যান্টার্কটিকায় আমাদের পরীক্ষার ক্ষেত্রে এগুলো কাজে আসবে। তবে স্ট্রবেরি চাষের ক্ষেত্রে ধৈর্য রাখা ছাড়া উপায় নেই।’ স্টেশন ম্যানেজার ব্যার্নহার্ড গ্রপ বলেন, অ্যান্টার্কটিকায় প্রথম স্যালাড দেখার মজাই আলাদা! বাগানে ফলানো টাটকা সবজির মতোই এর স্বাদ!
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১