আপডেট : ১১ January ২০১৮
প্রবল শৈত্য প্রবাহের মাঝে এক ঝলক রোদের হাসি; আলসে সকালের শীতল শ্রেণীকক্ষ থেকে বাইরে বের হয়ে আসেন শিক্ষকবৃন্দ। চেয়ার পেতে কুয়াশামুক্ত মাঠে তাদের বসতে দেখে চলে আসে শিক্ষার্থীরাও। সূয্যি মামার আদর গায়ে মেখে পাঠ গ্রহণে মত্ত হয় সকল শ্রেণী। এমন দৃশ্যের অবতারণা ঘটে বুধবার, খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার আমিরপুর ইউনিয়নের খারাবাদ বাইনতলা স্কুল অ্যান্ড কলেজে। চিত্রকলা, স্থাপত্যবিদ্যা, ভাষ্কর্য, চলচ্চিত্র প্রভৃতি বিষয়ের শিক্ষার্থীরা উন্মুক্ত স্থানে পাঠগ্রহণ কার্যক্রমে অভ্যস্ত হলেও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিষয়টি একদমই নতুন, যখন তীব্র শীতের প্রকোপে আরামদায়ক রোদ পোহানো হয়ে ওঠে মাঠে ক্লাস করার প্রধান কারন। এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক শিবলী নোমান বলেন, “শৈত্য প্রবাহের কারণে সৃষ্টি কনকনে শীতের মধ্যে ক্লাসে পাঠদান কঠিন হচ্ছিল। শীতের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরাও মনোযোগ হারাচ্ছিল। এ অবস্থার কারণে গত চারদিন ধরে রোদে বসে এভাবেই ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। খোলা মাঠে শীতল বাতাস থাকলেও রোদ্রের তাপ বৃদ্ধির সঙ্গে শীতের চাপটাও কমে যায়। অ্যাসেম্বলি শেষে প্রথম ১/২ ক্লাস কোন রকমে রুমে নেওয়া হয়। কুয়াশাচ্ছন্ন ঘাস শুকিয়ে গেলেই মাঠে ক্লাস নেওয়া হয়।” ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই বিচিত্র ক্লাসের স্বাদ নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। উচ্ছ্বাসের পরিমান শিক্ষার্থীভেদে কম-বেশি হলেও সবার মধ্যেই কাজ করছে চাপা উত্তেজনা। শিক্ষার্থী আসিফ শেখ জানায়, সকালে বেশি শীত থাকে। তাই ক্লাসের পড়ায় মন রাখা কঠিন হচ্ছিল। বিষয়টা স্যারদের জানালে রোদে বসে ক্লাস করার বিষয়ে সকলেই একমত হয়। দশম শ্রেণির ছাত্রী হুমায়রা খাতুন জানায়, শীতের কারণ অনেকেই স্কুলে আসত না। রোদে বসে ক্লাস নেওয়ার খবর পেয়ে উপস্থিতিও বাড়ছে। স্কুলের অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মনোযোগ পড়ায় রাখার স্বার্থেই রোদে বসে এভাবে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। যা সকলের জন্যই উপকার হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও বেড়েছে।’ স্কুল পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক সদস্য মো. হাসিব গোলদার বলেন, তীব্র শীতের মধ্যে শ্রেণী কক্ষগুলোতে শীতের বেশি লাগে। কারণ ভবনটি গাছ-পালায় ঘেরা। এ অবস্থায় ক্লাসে বসে শিক্ষার্থীরা বাইরের রোদের দিকেই থাকিয়ে থাকত।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১