আপডেট : ১১ December ২০২০
ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। এই মাসেই বাঙালির আরেকটি জয় বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। আমরা জয় করতে পেরেছি পদ্মানদীকে। প্রমত্তা নদীকে শাসন করে তার ওপর সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। উচ্ছ্বসিত হয়ে বলতে পারছি-আমরা পেরেছি, হ্যাঁ আমরা পেরেছি, আমরাও পারি। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা বাঙালির ইতিহাসে আরেকটি মাহেন্দ্রক্ষণ হিসেবে থাকবে। বসানো হয় সর্বশেষ অর্থাৎ ৪১তম স্প্যান। এর মধ্যদিয়ে সেতুর মূল অবকাঠামোর নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে। বিজ্ঞাপনের ভাষায় বলা যায়-‘স্বপ্ন হলো সত্যি, বসলো স্প্যানের পর স্প্যান।’ একটা সময় ছিল যখন কেউ পদ্মানদীর ওপর সেতু নির্মাণের কথা চিন্তা করলে তাকে মানুষ পাগল ভাবত। বলা হতো ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে কোটি টাকার স্বপ্ন দেখা ঠিক না। এটা অলীক কল্পনা। সেই অলীক কল্পনাকেও সত্যিতে পরিণত করতে পেরেছি। নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু। নানা বধা-বিঘ্ন পেরিয়ে, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র, আন্তর্জাতিক চক্রান্ত, গুজব এবং সর্বশেষ করোনা মহামারী-কোনো কিছুই পদ্মা সেতু নির্মাণকে দমিয়ে রাখতে পারে নি। কবির ভাষায় বলা যায়- ‘সাবাস বাঙালি, এপৃথিবী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়, জ্বলেপুড়ে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়’ সত্যিই কারো বাধা আমাদের দমাতে পারেনি। আমরা কারো কাছে মাথা নোয়াইনি। বাঙালি কখনোই কারো কাছে মাথা নোয়াইনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুেদ্ধে যুদ্ধ করে জয় ছিনিয়ে এনেছিল। পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে স্বাধীনতার ৫০ বছরের পদার্পণের সন্ধিক্ষণে আরেকটি জয় হলো। এটি শুধু একটি সেতু নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক মানুষের আবেগ-অনুভূতি। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে। একসময় এটি স্বপ্ন মনে হলেও পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা। পশ্চিমা বিশ্বের অবজ্ঞার, তাচ্ছিল্যের তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ এখন অসাধ্য সাধন করে। এই সেতু শুধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সামর্থ্যই নয়, দৃঢ় সংকল্প নেতৃত্বের সাহসের প্রতীক। বিশ্বব্যাংক ঋণ চুক্তি বাতিল করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনে নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এতে দেশে এক অভূতপূর্ব জনজাগরণের সৃষ্টি হয়। সব শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে এক অভিনব দেশাত্মবোধের উন্মেষ ঘটে। সবাই সামর্থ্যানুযায়ী সেতুর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। মালয়েশিয়াসহ অনেক দাতাগোষ্ঠীও এগিয়ে আসে। সরকার সব পথই খোলা রাখে। এমনকি বিশ্বব্যাংক যেসব কারণ দেখিয়ে ঋণ চুক্তি বাতিল করে সেগুলোও প্রতিকারের চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মন গলেনি বিশ্বব্যাংকের। অবশেষে এতদিন পর কানাডার আদালতের রায়ে সবকিছু মিথ্যা ও গালগল্প হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় চুক্তি বাতিলের বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্তটি যে ভুল ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নিয়ে অনেক জল ঘোলা করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রের জাল বিছানো হয়েছে। সেতুতে ‘মানুষের মাথা লাগবে’ বলে গুজবের ডালপালাও গজিয়েছে। কিন্তু কোনো বাধাই স্বপ্নকে আটকে রাখতে পারেনি। মানুষ আসলে তার স্বপ্নের চেয়েও বড়। পদ্মা সেতু এ সত্যটিকে আরো বেশি করে উদ্ভাসিত করছে। গতকাল দুপুর ১২টা ২ মিনিটে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ৪১তম শেষ স্প্যানটি। এর মাধ্যমেই দৃশ্যমান হলো ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু। ডাঙার অংশ ধরলে পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৯ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে তিন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। সেতুতে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ (১২২ মিটার) পাইল ব্যবহার করা হয়েছে। ১৫ টন ওজনের ৯৮ হাজার ৭২৫ কিলো নিউটন ক্ষমতার ফ্রিকশন প্যান্ডিলাম বেয়ারিং ব্যবহার হয়েছে নির্মাণ কাজে-যা উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল। এছাড়া নদীশাসনে সর্বোচ্চ ১.১ বিলিয়ন (প্রায় আট হাজার ৮০০ কোটি টাকার) চুক্তি হয়েছে। বিশ্বে প্রথম নতুন দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে পদ্মা সেতুর পাইল নির্মাণ কাজে। একটি হলো ভার্টিক্যাল আরসিসি বোর্ড পাইলে গ্রাউটিং ইনজেক্ট স্কিন ফ্রিকশন ব্যবহার করে দৃঢ়তা বৃদ্ধি করা। পদ্মায় এমন পাইল সংখ্যা ২২টি। অপরটি হলো স্টিল টিউবুলার ড্রিভেন পাইলে গ্রাউটিং ইনজেক্ট করে পাইলের তলদেশের স্কিন ফ্রিকশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এমন পাইল সংখ্যা ২৫২টি। পুরো সেতুতে পাঁচ ধরনের ৯৮টি বেয়ারিং ব্যবহার করা হচ্ছে, যার মধ্যে ৩৫টি স্প্যানের সঙ্গে দুটি করে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর সেতুর এক্সপানশন জয়েন্টে চারটি করে বেয়ারিং ব্যবহার হচ্ছে। ৬.১৫ কিলোমিটার সেতুতে সাতটি জয়েন্ট থাকছে। দেশ স্বাধীনের পর পদ্মা-যমুনার ওপর সেতু স্থাপন করে সারা দেশের সড়ক সংযোগ এবং অর্থনৈতিক বুনিয়াদ শক্তিশালী করার স্বপ্ন দেখতেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঘাতকের বুলেট তার সে স্বপ্নপূরণে বাধা দেয়। পরের ৩৯ বছরে সামরিক উর্দিধারী থেকে শুরু করে নির্বাচিত এবং মনোনীত সরকারগুলোও এই দুই বড় নদীতে সেতুর স্বপ্নটাকে সবসময় প্রাধান্য দিয়ে এসেছে। যমুনায় সে স্বপ্নপূরণ হলেও পদ্মা ছিল অধরা। উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা ও দেশের পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগের উন্নয়নে যমুনা নদীর ওপর ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণ পদ্মানদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি তোলে। জনগণের সেই স্বপ্নকে আবার জোরালো করে তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৯ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই এই সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাইকে প্রাধান্য দেন তিনি। ওই বছর প্রাথমিক পর্যায়ে একটি প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মধ্যদিয়ে পদ্মা সেতুর পরিকল্পনা প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিস্তারিত সমীক্ষা পরিচালনার অর্থ সংগ্রহের জন্য সেতু বিভাগ থেকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সম্ভাব্যতা সমীক্ষা অর্থায়নের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও জাপান দূতাবাসে পত্র প্রেরণ করে। জাপান সরকার ইআরডির প্রস্তাবে সম্মত হয়ে ২০০১ সালের ৪ ডিসেম্বর চুক্তি স্বাক্ষর করে। সমীক্ষায় ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৫৩ কোটি টাকা। ২০০১ সালের ৪ জুলাই মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের মেয়াদে তিনি ক্ষমতায় আসতে না পারলেও এ সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ অব্যাহত ছিল। ২০০৩-০৫ সালে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে এবং শরীয়তপুর জেলার জাজিরা পয়েন্টে সেতুর স্থান নির্বাচন করে। ২০০৫ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হলে প্রকল্পটি কারিগরি ও অর্থনৈতিক দিক থেকে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। সেতু নির্মাণের পাশাপাশি আলাদা লাইনে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও টেলিযোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনাও হয়। ২০১১ সালে সেতুতে রেলপথ সংযুক্ত করা হয়। বর্তমানে প্রকল্পের সর্বমোট বাজেট ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার ১১৫ দশমিক ০২ কোটি টাকা অর্থাৎ ৭৯ দশমিক ৮৯ ভাগ। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮২ দশমিক ৫০ ভাগ। সেতু বিভাগের তথ্য মতে, প্রকল্পের মূলসেতুর কাজ বাস্তবায়নে অগ্রগতি ৯১ ভাগ, আর্থিক অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ৩৮ ভাগ এবং সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া বাস্তবায়ন শতভাগ এগিয়েছে। তবে সেতুর কাজে সবসময়েই ছিল অনেক চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জিং কাজের মধ্যে প্রথমেই ছিল প্রকল্পের অর্থ-সংস্থান। সমীক্ষার সুপারিশ অনুসারে ২০০৬ সালের মে মাসের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার জেলা প্রশাসকদের কাছে ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাঠানো হয়। ২০০৭ সালের ১২ জুলাই ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প (ভূমি অধিগ্রহণ) অধ্যাদেশ- ২০০৭’ জারি করে সরকার। ২০ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় সম্বলিত পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের আওতায় সেতুর দৈর্ঘ্য ছিল ৫.৫৮ কিলোমিটার, সংযোগ সড়ক ১২.১৬৩ কিলোমিটার ও নদীশাসন করার সিদ্ধান্ত হয় ১৬.৩০ কিলোমিটার। সেতু নির্মাণে এডিবি ৩৫০ মিলিয়ন, বিশ্বব্যাংক ৩০০ মিলিয়ন এবং জাইকা ১৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার আশ্বাস দেয়। তবে, ২০১০ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় বিশ্বব্যাংক তাদের অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে নেয়। পরে অন্য দাতারাও সেটি অনুসরণ করে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে সম্ভাব্য দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয় কানাডার একটি আদালতেও। ইতোমধ্যে সে মামলার রায়ে আদালত একে নিছকই ‘অনুমান ও গুজব’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং কানাডার সেই কোম্পানির অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তাকে অব্যাহতিও দেন। দুর্নীতির অভিযোগটি কেবল কিছু ব্যক্তি, সরকারের বিরুদ্ধে ছিল না। ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও। এ কারণে চরম অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয় সরকারকে। তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে সরে যেতে হয়। একজন সচিব ও একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল এবং তাদের কিছুদিন কারাবাসও করতে হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ পেতে কানাডার একটি কোম্পানি ঘুষ দিতে চেয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ ব্যাপারে দুই দফা তদন্ত করেও অভিযোগের সত্যতা পায়নি। সরকারও পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি বা দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়নি বলে জোর দাবি জানালেও কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করেনি বিশ্বব্যাংক। এটা ছিল বাংলাদেশের মানুষের জন্য এক বিরাট দুঃসংবাদ। বিশ্বব্যাংক অর্থ প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। দেশ-বিদেশে সর্বত্র এ নিয়ে আলোচনা হয়-এই সেতু আদৌ হবে কি না। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করায় প্রথমে সংক্ষুব্ধ হলেও পরে সাহসী সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশীয় অর্থায়নে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। বর্তমানে প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন করা হচ্ছে। নানা চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে আজ পদ্মা সেতু বাস্তব হওয়ার পেছনে আছে পুরো জাতির বিশাল ত্যাগ। জনগণের করের টাকায় সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার লড়াইয়ে শামিল হতে বিশাল অবদান রাখবে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানো হয়। প্রথম স্প্যান থেকে শুরু করে ৩৯তম স্প্যান বসানো পর্যন্ত সময় লেগেছে তিন বছরের ওপর। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের আর্থিক সক্ষমতা ও দৃঢ় সংকল্প নেতৃত্বের সাহসের প্রতীক হয়ে থাকবে। দেশের সর্ববৃহৎ এ নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমরা প্রমাণ করেছি, আমরা পারি। এটা ছিল বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এর সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তি জড়িত ছিল। এমন বৃহৎ ও খরস্রোতা একটা নদীর ওপর এত বড় সেতু নির্মাণ করে আমরা বিশ্বের সামনে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা যদি সৎ ও অবিচল থাকি তবে আমার যা চাই, তাই করতে পারি। বাংলাদেশ যে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে তার প্রমাণ পদ্মা সেতু। এই সেতু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এক নতুন জাগরণ নিয়ে আসবে। বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এ সেতুটি। যোগাযোগের ক্ষেত্রে ঘটবে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। মানুষের যাতায়াত থেকে শুরু করে পণ্য পরিবহনে সময় বাঁচবে। ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে নিশ্চিত করেই।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১