দাম নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের অভিযানের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছেন আড়তদাররা।

সোমবার সকাল থেকে ব্যবসা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

তাদের দাবি, আমদানিকারকদের দামের ওপর নির্ভর করতে হয় তাদের। সেখানে অভিযান না করে শুধু খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়ে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করা অযৌক্তিক বলছেন তারা। অভিযান বন্ধের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আড়ৎ বন্ধ রাখার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।

আর প্রশাসন বলছে, নিয়ম না মেনে এবং ক্রয় রশিদ না রেখে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রেতাদের কোনো ছাড় নেই।

দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে কয়েক দিন ধরেই লাফিয়ে লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। পেঁয়াজের এ পাগলা ঘোড়ার লাগাম টানতে খাতুনগঞ্জে অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন।

রোববার‌ দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ বাজারে অভিযান চালিয়ে পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারসাজির অভিযোগে ১০ আড়তদারকে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। সোমবারও অভিযান হওয়ার কথা থাকায় অভিযান ঠেকাতে পেঁয়াজের আড়ৎ বন্ধ করে সকাল থেকে বিক্ষোভে নামেন ব্যবসায়ীরা।

খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, সংগঠন থেকে কোনো কর্মসূচি দেয়া হয়নি। মূলত জরিমানার শিকার ব্যবসায়ীরা আড়ৎ বন্ধ রাখার পর সব আড়তই বন্ধ করে দেয়া হয়।

পণ্যের দাম বাড়ানোর নেপথ্যে আড়তদারদের ভূমিকা নেই উল্লেখ করে তিনি জানান, খাতুনগঞ্জে ভারতের পেঁয়াজের আমদানিকারক নেই বললেই চলে। স্থলবন্দর থেকে বেপারিরা পেঁয়াজ পাঠিয়ে দাম বেঁধে দেন। সেই দামে কমিশনের ওপর আড়তদার বিক্রি করেন। তাই বাজার মনিটরিং করতে হবে স্থলবন্দরগুলোতে।