আপডেট : ০৫ April ২০২০
করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে পণ্য সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিলে মূল্যস্ফীতি বেশ বাড়তে পারে—এমন শঙ্কা ছিল। তবে শঙ্কার তুলনায় কমই বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। গত মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। ওই সময় মাসওয়ারি ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ, যা আগের মাসে (ফেব্রুয়ারি) ছিল ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্যে এই চিত্র পাওয়া গেছে। বিবিএস বলছে, এ সময় খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কমেছে, বেড়েছে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে। গত মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা গত ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গত মার্চ মাসে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয় ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারি মাসে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ ছিল। অন্যদিকে মার্চ মাসে জাতীয় মজুরি হার বেড়েছে ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এর মানে, যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে, এর চেয়ে মজুরি বেশি বেড়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও তা ক্রয়ক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি। এছাড়া বিবিএস বলছে, গত মার্চ মাসে গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি ছিল। গত মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ, আর গ্রামে ছিল এ হার ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এদিকে গত ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছিল ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশে। জানুয়ারিতে এই মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে আগের মাসের তুলনায় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৯৭ ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছিল ৬ দশমিক ২৩ শতাংশে। জানুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ১২ ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১