আপডেট : ১১ February ২০২০
যুব বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের দুদিন আগে মারা যান যুব দলের অধিনায়ক আকবর আলির বড় বোন। ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট হওয়ায় বোনের ভীষণ আদরের ছিলেন আকবর। কিন্তু বিশ্বমঞ্চে খেলতে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে এই খারাপ খবরটা দেওয়া হয়নি তাকে। পরে জানতে পেরে প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু শক্ত মানসিকতার আকবর ব্যক্তিগত শোক ভুলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দেশকে এনে দিয়েছেন বিশ্বকাপ। পাকিস্তান ম্যাচ পর্যন্ত যুব বিশ্বকাপ দলে ছিলেন পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। চোটে পড়ে এরপর তিনি ফিরে আসেন দেশে। মৃত্যুঞ্জয় জানান বোনের মৃত্যু পরবর্তী আকবরের অবস্থা, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের দুদিন আগে ওনার আপু মারা গেছেন। কিন্তু আকবর ভাইয়ের পরিবার তখনো তাকে বিষয়টি জানায়নি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বাসা থেকে ফোন আসে। আমরা সবাই অনেক কান্নাকাটি করেছিলাম। তখন শোকাবহ একটা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছিল।’ ‘আকবর ভাই শক্ত মনের মানুষ। তিনি দুদিন নিজের রুমেই বন্দি ছিলেন। কারো সঙ্গে কথা খুব একটা বলতেন না। পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছেন। সবাইকে বলেছেন বিশ্বকাপে মন দিতে।’ দলের ট্রেনার মুজাদ্দেদ সানি জানান, ওই ঘটনার শোক কাটিয়ে আকবরই একাত্ম করেছেন সবাইকে, ‘ওর পরিবার আমাদের জানালেও ওকে জানাতে নিষেধ করেছিল। আকবর যখন জানতে পারল, খুব অভিমান করেছিল। ও খুব চাপা স্বভাবের। তারপরও কেঁদেছে। নিজেকে সামলে নিয়ে সবাইকে ম্যাচে ফোকাস রাখতে বলেছে। সত্যিই ভিন্ন গ্রহের মানুষ আকবর।’ আগের দিন যুব বিশ্বকাপ ফাইনালে রান তাড়ায় চরম বিপদে ছিল বাংলাদেশ। ৭৭ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস খেলে ঠান্ডা মাথায় সেই কঠিন পরিস্থিতি পার করে দলকে ম্যাচ জেতান আকবর। তাতে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্ব আসরের ট্রফি উঁচিয়ে ধরে বাংলাদেশ। এই ইনিংসের পর আকবরের পরিণত মানসিকতা প্রশংসা পাচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১