আপডেট : ২৭ October ২০১৯
জেলার বিভিন্ন সীমান্তে দিয়ে অবৈধপথে আসছে ভারতীয় চা পাতা। তা বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন হাট-বাজারে। এসব চা পাতার দাম কম হওয়ায় বাংলাদেশী চা পাতার প্রতি অহীনা প্রকাশ করছে দোকানদার ও সাধারণ ক্রেতারা। ফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আর ক্ষুদ্র চা চাষীরা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ। বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা ওই চা পাতা প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। কিছু পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসব চা পাতা কিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। বুড়িমারী জিরোপয়েন্ট, পাটপ্রাম ও বাউরা বাজার, সদর উপজেলার দুরাকুটি হাট, এমনকি শহরের বিডিআর হাটেও বিক্রি হচ্ছে, তৃপ্তি, সোনাল, গ্রীণ ফ্রেশসহ বিভিন্ন নামের ভারতীয় চা পাতা। এসব চা পাতা ১কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা। আর বাংলাদেশী ৫০০ গ্রাম চা পাতা বিক্রি হচ্ছে প্রায় দ্বিগুন দামে ২১০ টাকা থেকে ২২০ টাকায়। স্থানীয় চায়ের দোকানদার দুলাল হোসেন ও জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশী চা পাতার দাম ভারতীয় চা পাতার চেয়ে দ্বিগুন। এর ফলে ভারতীয় চা পাতার দাম তুলনামূলক অনেক কম থাকার কারনে অনেক চায়ের দোকানদার ভারতীয় চা পাতা ব্যবহার করছে। এ ব্যাপারে লালমনিরহাট চা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আরিফ খান বলেন, ‘ভারতীয় চা পাতা অবৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করায় ক্ষুদ্র চা চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাদের কঁচি চা পাতা কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাছাড়া রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, ‘ভারতীয় চা পাতা অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসার অপরাধে চলতি অক্টোবর মাসে ২০৯০ কেজি ভারতীয় চা পাতাসহ পাঁচজন গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অবৈধ পণ্য ভারত থেকে যাতে বাংলাদেশ প্রবেশ করতে না পারে এ কারণে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১