আপডেট : ০৯ October ২০১৯
বিভিন্ন সংকটে ধুকছে কুমিল্লার লাকসাম-নোয়াখালী ও লাকসাম-চাঁদপুর রেল রুট। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রেল স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ট্রেন কমে যাওয়া। এই দুই রুটের স্টেশন গুলো এক সময় ট্রেন আর যাত্রীর উপস্থিতিতে সরগরম থাকলেও এখন তা যেন মৃত বাড়ি। লাকসাম-চাঁদপুর রুটে ১২টি ট্রেন চলাচল করতো। দুই বছর আগে দুইটি এবং ছয় মাস আগে আরো দুইটি ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। একই অবস্থা লাকসাম-নোয়াখালী রুটে। ১২টি ট্রেনের মধ্যে আটটি চলাচল করছে। সেগুলোও অধিকাংশ চলছে রাতের বেলায়। এতে দিনে চলাচল করা যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। যাত্রী না থাকায় স্টেশন সংলগ্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এই দুইটি রুটে গত এক যুগে নয়টি রেল স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। এগুলোর প্লাটফর্মের মধ্যে এখন ধান মাড়াই ও গরু বাঁধার কাজ চলছে। কোথাও রেলওয়ের সম্পত্তি দখল হয়ে যাচ্ছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া স্টেশন গুলো হচ্ছে, লাকসাম-নোয়াখালী রেল রুটের দৌলতগঞ্জ, খিলা, বিপুলাসার, বজরা ও মাইজদী। লাকসাম-চাঁদপুর রেল সড়কের শাহতলী, মৈশাদী, বলাখাল ও শাহরাস্তি। এছাড়া আরো ৫/৬টি স্টেশন বন্ধ হওয়ার পথে রয়েছে। বন্ধ হওয়া ট্রেন গুলো হচ্ছে, লাকসাম-চাঁদপুর রুটে ডেমু কমিউটার ২টি এবং চাঁদপুর-ভৈরব রুটে লোকাল দুইটি। লাকসাম-নোয়াখালী রুটে ডেমু কমিউটার ২টি এবং নোয়াখালী-লাকসাম রুটে নোয়াখালী লোকাল ট্রেন দুইটি ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। রেলওয়ে কুমিল্লার উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, লাকসাম-নোয়াখালী ও লাকসাম-চাঁদপুর রেল রুটে আগে ১২টি করে ট্রেন চলাচল করতো। এখন আটটি করে ট্রেন চলাচল করছে। ইঞ্জিন ও বগি সংকটে ট্রেন কমে গেছে।
চাঁদপুর শাহরাস্তি এলাকার হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, এক সময় লাকসাম-চাঁদপুর রুটে মানুষ ট্রেনে বেশি চলাচল করতো। এখন ট্রেন কমে গেছে। শাহরাস্তির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন, সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১