আপডেট : ১৫ July ২০১৯
বগুড়ার সারিয়াকান্দির নিকট যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩ সেঃমিঃ বৃদ্ধি পেয়ে আজ সোমবার বিকেলে ৩টায় বিপদ সীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ৯৮টি গ্রামের ৬৬ হাজার ৮শ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন উচুস্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যায় তিনটি উপজেলায় ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে। বন্যায় তিনটি উপজেলায় পাট, আউশ ধান, সবজি, মরিচ, বীজতলা ও আখ সহ ৮ হাজার ৬০৩ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এছাড়া ১ হাজার ৯শ ল্যাট্রিন ও ২ হাজার ৪৫৭টি টিউবয়েল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৪টি টিউবয়েল মেরামত করা হয়েছে। বন্যা কবলিত লোকজনের মধ্যে ১ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জিআর ৫শ মেট্রিক টন চাল ও ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ১৪২ মেট্রিক টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই বিতরণ শুরু হয়েছে। বগুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে আরো ৫শ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লক্ষ ও ১০ হাজার শুকনা খাবার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এছাড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ২২২ টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা। আজ সোমবার বিকেলে বগুড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং এ ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রায়হানা ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। বাধের পরিস্থিতি ভাল। এদিকে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষ জনের দুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ায় লোকজন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। সোমবার ধলিরকান্দি ও বয়রাকান্দি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরে ঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কোন কোন ঘরে অথৈ পানি। আবার কারো কারো ঘরে হাঁটু থেকে গলা সমান পানি। বয়রাকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিজাম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় বন্যার পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। ধলির কান্দি গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল মন্ডল জানান, তার ওয়ার্ডে ৪৬৫টি পরিবার বসবাস করে। ৪৬৫টি পরিবারে মধ্যে প্রায় সবকটি পরিবারের বাড়ীঘরে বন্যার পানি উঠেছে। গত ৮/১০ বছর যাবৎ বয়রাকান্দি, ধলিরকান্দি গ্রামের মানুষ প্রতিবছর বন্যার সময় চরম দুর্ভেগ পোহায়। ১টি বেড়ী বাঁধ নির্মাণ করা হলে বয়রাকান্দি এবং ধলিরকান্দি গ্রামের মানুষ বন্যার পানির হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং বন্যার সময় তারা ঘরে থাকতে পারবে। বর্তমান এ এলাকার প্রায় সকল মানুষ বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে ছোট ছোট ছাপরা ঘর তুলে অতি কষ্টে জীবন যাপন করছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১