আপডেট : ১৩ July ২০১৯
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা সদর থেকে আধা মাইল উত্তর পশ্চিমে ইতিহাস খ্যাত প্রাচীন মিঠাপুকুর বড় মসজিদের অবস্থান। গড়ের মাথা হতে মিঠাপুকুর-ফুলবাড়ি মহসড়কে পায়ে হেটে ১০ মিনিটে আর রিকশা-ভ্যান কিংবা অটো রিকশাতে দুই-তিন মিনিট সময় লাগতে পারে। সড়ক থেকে দক্ষিণ দিকে (বামে) তাকালেই চোখে পড়বে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মাটিতে পোড়ানো লাল মেটো রঙয়ের একটি মসজিদ। এই মসজিদটির নাম মিঠাপুকুর বড় মসজিদ। মসজিদটি আয়তাকার তিনটি গোলাকার গুম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত। মসজিদের সম্মুখ লিপি থেকে জানা যায়, ১৮১১ সালে শেখ মোয়াজ্জমের প্র-পুত্র শেখ মুহাম্মদ আসিনের পিতা শেখ সাবির মসজিদটি নির্মাণ করেন। নান্দনিক কারুকার্যের ছোঁয়া মসজিদটির সব জায়গায়। তিনটি গম্বুজ মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকা মিঠাপুকুর বড় মসজিদ। নির্মাণ শৈলির আকর্ষণে আকৃষ্ট না হয়ে উপায় নেই দর্শনার্থীদের। রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি নির্মাণ হয়েছে আজ থেকে ২০৯ বছর আগে। রংপুর শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে রংপুর ও ঢাকা মহাসড়কের উপর অবস্থান এই মসজিদটির। চারিদিকে গাছ-গাছালিতে ঘেরা আর সবুজ ক্ষেত। এর মাঝেই দাঁড়িয়ে আছে দৃষ্টিনন্দন মিঠাপুকুর বড় মসজিদ। প্রাচীন স্থাপত্য হিসেবে পরিচিত এই মসজিদটি মোঘল আমলের শেষ দিকে নির্মাণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। আয়তনে ছোট হলেও নামের সাথে যুক্ত আছে বড় শব্দটি। তবে স্থানীয়দের কাছে মিঠাপুকুর বড় মসজিদটি ভাঙা মসজিদ বা পুরনো মসজিদ নামে বেশ পরিচিত। মসজিদের চারপাশে রয়েছে সুরম্য গেটসহ বাউন্ডারি দেয়াল। দেয়ালের অভ্যন্তরে রয়েছে খোলা আঙ্গিনা। মসজিদের চার কোণায় পিলারের উপর রয়েছে চারটি মিনার। মিনারগুলো আট কোণাকারে নির্মিত। মিনারগুলো ছাদের কিছু ওপরে ওঠে গম্বুজ আকৃতিতে শেষ হয়েছে। মসজিদের ভেতরে প্রবেশের জন্য রয়েছে কারুকার্য খচিত তিনটি প্রবেশদ্বার। মসজিদের মধ্যের প্রবেশদ্বারের দু পাশের পিলারের উপর রয়েছে ছোট দুটি মিনার। সামনের অংশে পোড়া মাটির কারুকার্য মসজিদটিকে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে। মসজিদের ভেতরে সামনের দরজা বরাবর পশ্চিম দেয়ালে রয়েছে তিনটি মেহরাব। মসজিদটির প্রবেশ দ্বারেও রয়েছে কারুকার্যের ছাপ। মসজিদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল সুবিশাল তিনটি গম্বুজ। মসজিদে প্রবেশের পূর্বেই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে রাখা হয়েছে। বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়া বেশ পুরোনো এই মসজিদটির সংস্কার, যথাযথভাবে সংরক্ষণ, দেখভাল ও প্রচারণার অভাবে দিন দিন দর্শনার্থী কমছে। স্থানীয় এলাকাবাসী আতোয়ার হোসেন জানান, ১০-১১ বছর আগে মসজিদটি সংস্কার করা হয়।এরপরে আর কোনো সংস্কার করা হয়নি। মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লী জানান, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় মসজিদের দেয়ালে স্যাঁতসেতে হয়ে পড়েছে। এতে খুলে পড়ে যাচ্ছে দেওয়ালের অংশ।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১