আপডেট : ০৯ July ২০১৯
ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বরইতলী ইউনিয়নে পাহাড় ধসে একব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বড় বন্যার আশঙ্কা করছেন উপজেলাবাসী। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গত চারদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি ও উজানের পানিতে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে রয়েছে। শত শত বসত ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। অনেক স্থানে কালভার্ট, সেতু ও অধিকাংশ রাস্তাঘাট বন্যার পানির নিচে রয়েছে। সড়কগুলো পানিতে ঢুবে থাকায় নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। বৃষ্টির অব্যাহত থাকায় উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী জানান, বন্যার পানি ও ভারি বর্ষণে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলে দেওয়া হয়েছে ২নং ওয়ার্ডের জালিয়াপাড়ার সুইচ গেটটিও। তিনি বলেন, ৫নং ওয়ার্ডের একাধিক স্থানে বন্যার পানি থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পৌর শহরকে জলবদ্ধতা মুক্ত রাখতে সবধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি সরানোর জন্য লোকবল কাজ করছেন। সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক জানিয়েছেন, বন্যার পানির প্রবল স্রোতে তার ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা তলিয়ে গেছে। বন্যার পানি বৃদ্ধির পাওয়ায় স্থানীয় লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান জানিয়েছেন, তার ইউনিয়ন মাতামুহুরী নদীর নিকটতম হওয়ায় দ্রুত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকের বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানান, ভারি বর্ষণের ফলে তার ইউনিয়নের বেশিরভাগ নীচু এলাকা হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় চকরিয়া চিংড়ি জোনখ্যাত চরণদ্বীপ ও সওদাগরঘোনায় হাজার হাজার একর চিংড়িঘেরে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ঘের মালিক ও মৎস্য চাষিদের ব্যাপক ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা রয়েছে। কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার জানান, মাতামুহুরী নদীতে পাহাড়ি বন্যা নেমে আসার পর বিভিন্ন শাখাখাল ও স্লুইচ গেইট দিয়ে তার ইউনিয়নে লোকালয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদীর পানি। ইউনিয়নের অধিকাংশ নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে পানিতে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মোহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, ভারিবর্ষণে উপজেলার বেশিরভাগ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ও স্লুইচগেইট পরিদর্শন করা হয়েছে। যেসব এলাকা বন্যা ঝুকিতে আছে সেখানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে প্রধান করে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১