আপডেট : ৩০ June ২০১৯
গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার তিন বছর পূর্তি হচ্ছে আগামীকাল সোমবার। দিবসটি উপলক্ষে নিহতদের স্বরণে ঢাকা মহানগর পুলিশ, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারীর ওই বাড়িটিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। ২০১৬ সালের ১জুলাই রাতে হলি আর্টিজানে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন নিহত হন। পরদিন ভোরে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দেশি-বিদেশি ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। গত বছরের ২৩ জুলাই তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। হামলায় জড়িত হিসেবে ২১ জনকে চিহ্নিত করা হলেও ১৩জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে মারা যাওয়ায় ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। তারা হলেন-হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবির নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আবদুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম খালিদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। তারা সবাই কারাগারে রয়েছে। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় নিহত হয় ৮ জঙ্গি। তারা হলো- তামিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব:) জাহিদুল ইসলাম মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।
এ সময় নিহত হয় ৫ জঙ্গিসহ ৬ জন।
হামলার পরদিন হলি আর্টিজানে পরিচালিত 'অপারেশন থান্ডারবোল্টে' নিহত ৫ জঙ্গি হলো রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম পায়েল।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১