গাইবান্ধা শহর এলাকার বাসিন্দা রনি মিয়া। শহরের নতুন বাজার থেকে চাল কিনে চুলায় রান্না বসানোর আগ মুহূর্ত সেই চাল নিয়ে সন্দেহ হলো তার। যেমন ভাবা, তেমনি কাজ। চুলায় রান্না না বসিয়ে সেগুলো নিয়ে সোজা সদর থানায় হাজির হন তিনি।

চালগুলো দেখতে প্লাস্টিক সাদৃশ্য মনে করে পুলিশকে বিষয়টি দেখান রনি মিয়া। পুলিশ ভালো করে পর্যবেক্ষণ করার পর তাদেরও চালগুলো নিয়ে সন্দেহ হয়। খবর ইউএনবির।

পরে পুলিশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার সরকারকে বিষয়টি অবহিত করে।

এরপর সোমবার দুপুরে শহরের নতুন বাজার চালের আড়তে অভিযান পরিচালনা করে ‘নোমান মিয়ার চালের দোকান’ থেকে দেড় বস্তা প্লাস্টিক সদৃশ চাল জব্দ করে পুলিশ।

সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, সকালে রনি মিয়া নামে এক ব্যক্তি তার বাড়িতে ভাত রান্না করতে গিয়ে প্লাস্টিক সদৃশ চাল লক্ষ্য করেন। তিনি সেই চাল রান্নায় না চড়িয়ে সেগুলো নিয়ে সদর থানায় হাজির হন।

তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন। তার নেতৃত্বে অভিযান পরিচলনা করে ব্যবসায়ী নোমান মিয়ার দোকান থেকে দেড় বস্তা প্লাস্টি সদৃশ চাল জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, পুলিশ এ ধরনের চালের খোঁজে বাজারের আরও কয়েকটি দোকানে অভিযান চালিয়েছে। নোমান মিয়ার দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। তবে তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।

ক্রেতা রনি মিয়া বলেন, ‘চালগুলো নিয়ে আমার সন্দেহ হয়েছিল। পরে কিছু চাল এমনি আগুনে দেয়ার সাথে সাথে সেগুলো পুড়ে প্লাস্টিকের আকার ধারণ করে। এরপর পুলিশের কাছে এ চাল নিয়ে হাজির হই।’