আপডেট : ০৩ February ২০১৯
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বিএনপি যেভাবে রাজনীতি করছে সেভাবে চললে তাদের অবস্থা মুসলিম লীগের মতো হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে যোগ না দেওয়ায় বিএনপির তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি যে পথে চলছে তাতে তাদের রাজনৈতিক সংকট আরো বাড়বে। এভাবে চললে তাদের পরিণতি মুসলিম লীগের মতো হবে।’ তিনি আরো বলেন, তারা (বিএনপি) নেতিবাচক রাজনীতি মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে গণভবনে চা-চক্রের অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে তারা প্রমাণ করেছে, তারা নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। মাহবুব-উল আলম হানিফ আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স হলে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্মরণে ‘স্বপ্ন ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চা-চক্রে যোগদান না করে রাজনৈতিক অসৌজন্যতার পরিচয় দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াতে যোগদান না করে আলোচনার যে সুযোগ ছিল সে সুযোগটিও হারিয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, তিনি (ফখরুল) তার দলের কারাবন্দি নেতাদের নিয়ে মায়াকান্না করেছেন। তারা যুদ্ধাপরাধী ও দুর্নীতিবাজদের রক্ষার জন্য আন্দোলনের নামে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং আন্দোলনের নামে নাশকতা করেছে। এসব মামলার আসামী হিসেবে তারা কারাগারে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা এবং ৩ নভেম্বর জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করার পর বিচার না পেয়ে সৈয়দ আশরাফকে বিদেশে চলে যেতে হয়েছিল। তখন আইনের শাসন ও মানবতা কোথায় ছিল?’ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘দল-মত নির্বিশেষে সকলের কাছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম একজন সজ্জন রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি রাজনীতিতে শুদ্ধাচারে বিশ্বাসী ছিলেন।’ ডা. দীপুমনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে এবং জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করার পর সৈয়দ আশরাফ যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং সেখানে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার জন্য কাজ করেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এডভোকেট মুজিবুল হক এমপি, নুরুল আমিন রুহুল এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মো. আনোয়ারুল কবির।
তিনি বলেন, তিনি (সৈয়দ আশরাফ) ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১