বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ৩০ January ২০১৯

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি

নিউ ইয়র্কের আদালতে আজই মামলা

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি প্রতীকী ছবি


বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্তৃপক্ষসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে বুধবারই নিউইয়র্কের আদালতে মামলা করা হবে। আজ সকালে মুদ্রানীতি ঘোষণার অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আজ বুধবার সকালে মুদ্রানীতি ঘোষণার অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

প্রতিনিধি দলে যারা আছেন- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথ, একই ইউনিটের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রব এবং অ্যাকাউন্ট অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন রয়েছেন।

এর আগে ২০ জানুয়ারি সচিবালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের আদালতে মামলা করা হবে।

সেসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। এ মাসের মধ্যেই মামলা হবে। এই মামলা দেখভালের জন্য বাংলাদেশের একজন আইনজীবী রয়েছেন। ঠিক তেমনিভাবে আমেরিকায়ও একজন আইনজীবী আছেন। তারা যৌথভাবে সময় নির্ধারণ করে এ মামলা দায়ের করবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের আরসিবিসি’র চারটি অ্যাকাউন্টে আর বাকি ২ কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলঙ্কায়। ব্যাংকটির মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রায় বদলে ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে (জুয়া খেলার জায়গা) চলে যায় বেশির ভাগ অর্থ। তবে হ্যাকারদের একটি বানান ভুলে ২ কোটি ডলার শ্রীলঙ্কায় পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরে ফিলিপাইনের সিনেট শুনানির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক ১ কোটি ৫২ লাখ ডলার ফেরত আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় এরই মধ্যে ফিলিপাইনের আদালতে রিজাল ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে দোষী করে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের এক তদন্তে উঠে আসে—হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারও যে সম্পৃক্ততা নেই, সেটিও পরিষ্কার হয়। এসব কারণে আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করে অর্থ ফেরত পাওয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১