বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২২ January ২০১৯

তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ

তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ ছবি : সংগৃহীত


দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম ইউরোপ ৬ (সাউথ ইস্ট এশিয়া- মিডল ইস্ট-ওয়েস্ট ইউরোপ বা সি-মি-উই ৬) কনসোর্টিয়ামে সংযুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নতুন কনসোর্টিয়ামে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ তৃতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।

জানা গেছে, নতুন এই কনসোর্টিয়ামে বাংলাদেশের নাম আছে বলে উল্লেখ করে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন এই কনসোর্টিয়ামের উদ্যোক্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের হনুলুলুতে সি-মি-উই ৬ নিয়ে উদ্যোক্তাদের বৈঠকের বিস্তারিত কাগজপত্র এখনো ‘অফিসিয়ালি মেলেনি’ বলে এই কনসোর্টিয়ামে কারা যুক্ত হয়েছেন, এর সক্ষমতা, বিনিয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে এখনো কিছু  জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, সি-মি-উই ৬-এ যোগ দেওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে অফিসিয়ালভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতীতের ৫টি কনসোর্টিয়ামই খুব সাকসেসফুলি রান করা হয়েছে। কেবল লাইন শুধু হওয়া নয়, কেবল লাইন সিগনেফিকেন্টলি- টেকনোলজিক্যালি সাউন্ড হয় সেটাই ফ্যাক্টর। এই সি-মি-উই রুটে এখন যে কোনো কনসোর্টিয়াম সাকসেসফুল হবে।

‘ইনডিভিজ্যুয়াল লাইন করতে গেলে বা দু-একজনকে নিয়ে একটা কানেক্টিভিটি করতে গেলে সেটা ব্যয়বহুল হয়ে যায়। এই ব্যয়বহুল জায়গা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য কনসোর্টিয়ামকে প্রেফার করা হয়েছে। এতে সরকারিভাবে যোগ দেব, যদি কোনো বেসরকারি পার্টনার আসতে চায় তাকেও নেব। এমনকি বেসরকারি কেউ সাবমেরিন কেবল করতে চাইলে সেখানে তিনের পরে চার নম্বর সাবমেরিন কেবলে যাব’ বলছিলেন মন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। ২০০৮ সালে মাত্র ৮ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হলেও বর্তমানে ব্যবহূত হচ্ছে ৯০০ জিবিপিএসের বেশি। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আরো ব্যান্ডউইথ অর্জনের বিকল্প নেই। এ কারণেই বাংলাদেশ তৃতীয় আরেকটি সাবমেরিন কেবলে সংযুক্ত হওয়ার প্রকল্প নিয়েছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের সামনে তৃতীয় সাবমেরিন কেবল অনিবার্য বিষয়। যেভাবে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করেছি, তাতে কিছুদিন পরে আমাদের ব্যান্ডউইথের চাহিদা এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকবে যে, সি-মি-উই ৫ দিয়ে তা আর সামাল দেওয়া যাবে না।’ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসাবমতে, ২০১৮ সালের নভেম্বরের শেষে দেশে মোট কার্যকর ইন্টারনেট সংযোগের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় কোটি ১৮ লাখ। যার মধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংযোগ আছে আট কোটি ৬২ লাখ।

সংখ্যায় মাত্র ৫৭ লাখ ৩৫ হাজার হলেও ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমেই ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের বেশিরভাগ ব্যবহার হয়ে থাকে। এর বাইরে ওয়াইম্যাক্স সংযোগ আছে আরো ৬১ হাজার।

প্রসঙ্গত সি-মি-উই হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম ইউরোপের সংক্ষিপ্ত নাম। এই এলাকার মধ্য দিয়ে কেবলটি স্থাপিত বলে প্রতিটি কেবলের নামে এমনটা যুক্ত থাকে। যেমন সি-মি-উই ৪, সি-মি-উই ৫। সর্বশেষ সি-মি-উই ৫ কনসোর্টিয়ামে এই এলাকার দেশগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, কাতার, ওমান, ইউএই, জিবুতি, মিসর, তুরস্ক, ইতালি, ফ্রান্স, মিয়ানমার ও ইয়েমেন। এই ১৯ দেশ ১৯টি ল্যান্ডিং পয়েন্টের মাধ্যমে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। নতুন সি-মি-উই ৬ কনসোর্টিয়ামেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম ইউরোপ থেকেই দেশগুলো যুক্ত হবে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১