আপডেট : ১৬ January ২০১৯
চতুর্থ সপ্তাহে গড়াল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের আংশিক অচলাবস্থা। কিন্তু এখনো উভয়পক্ষ নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকায় শিগগির সঙ্কট নিরসন হতে পারে এমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ফলে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগের লাখ লাখ কর্মী বেতনহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। খবর বিবিসি ও সিএনএন। গত সোমবার নিউ অরলিয়ন্সে আমেরিকান ফার্ম ব্যুরোর সম্মেলনে ট্রাম্প আবারো কংগ্রেসের কাছে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চান। অবৈধ উপায়ে সীমান্ত পাড়ি দেওয়া ঠেকাতে দেয়াল যা করতে পারবে তার অনেক কিছুই ড্রোন, সেন্সরস ও অন্যান্য টেকনোলজি পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ এ অচলাবস্থা ট্রাম্পের সমর্থক হিসেবে খ্যাত কৃষকদের ওপরও বড় ধরণের আঘাত হেনেছে। তারা কৃষি ঋণ ও সহায়তার আবেদনে সাড়া পাচ্ছে না। কৃষি ও শস্য সম্পর্কিত তথ্যের সেবা থেকেও তারা বঞ্চিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সিনেটের সংখ্যালঘু ডেমোক্রেট অংশের নেতা চাক শুমার এক টুইটারে ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি যদি কৃষকদের সাহায্য করতে চান তাহলে সরকারের কার্যক্রম পুনরায় চালু করুন। এর আগে প্রভাবশালী রিপাবলিকান লিন্ডসে গ্রাহাম চলতি সপ্তাহেই অচলাবস্থার কারণে বন্ধ বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগগুলো সাময়িক সময়ের জন্য খোলার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে ডেমোক্রেটদের সঙ্গে মধ্যস্থতাকে উৎসাহিত করতে তিনি এ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার ট্রাম্প এ অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেন। হোয়াইট হাউস থেকে লুইজিয়ানার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি এর যথাযথ সমাধান চাই। লিন্ডসের পরামর্শে সাড়া দিয়ে আমি একে পিছিয়ে দিতে চাই না। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের লক্ষে কংগ্রেসের কাছে ৫৭০ কোটি ডলার চান ট্রাম্প। কিন্তু ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা এতে সম্মতি দেন নি। এ কারণে গত ২২ ডিসেম্বর থেকে দেশটিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ট্রাম্প বলেছেন, বরাদ্দ পুরোপুরি না পাওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো ধরনের বাজেট বিলে স্বাক্ষর করবেন না। ব্যয় নির্বাহের বাজেট অনুমোদিত না হওয়ায় তহবিল ঘাটতিতে কে ন্দ্রীয় সরকারের এক চতুর্থাংশ বিভাগ ও সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিসম প্রতিনিধি পরিষদ দেয়াল বাদ দিয়ে সীমান্ত সুরক্ষায় ড্রোনসহ নানা ধরনের অত্যাধুনিক পপ্রযুক্তি মোতায়েনে ১৩০ কোটি ডলার দিতে রাজি হয়। কিন্তু তাতে মন গলেনি ট্রাম্পের। দেয়াল নির্মাণের অর্থ দিতে রাজি না হওয়ায় হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের ডেমোক্র্যাট স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমারের সঙ্গে এক বৈঠক থেকেও ওয়াক আউট করেন প্রেসিডেন্ট। অচলাবস্থার কারণে বেতন ছাড়া কাজ করে যাওয়া বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের আসার হার দিন দিন কমছে। পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসনের (টিএসএ) বেশিরভাগ কর্মী হাজিরা দিলেও তহবিল ঘাটতির কারণে তাদের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। টিএসএর মুখপাত্র মাইকেল বিলেলো বলেন, প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অনির্ধারিত অনুপস্থিতির হার ৭ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছেছে। বছরখানেক আগে ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১