বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৫ January ২০১৯

জেলার ব্র্যান্ডিং পণ্য পনির


সাদা পনিরের জন্য বিখ্যাত কিশোরগঞ্জের হাওরের রানীখ্যাত উপজেলা অষ্টগ্রাম। পনির শিল্পের সূতিকাগার অষ্টগ্রামের বাইরেও তৈরি হয় এ পনির। এবার এর মাধ্যমেই সারা দেশে আরো পরিচিতি বাড়বে কিশোরগঞ্জ জেলার। কারণ জেলার ব্র্যান্ডিং পণ্য হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে পনিরকে। সারা দেশে এটার পরিচয় হবে ‘কিশোরগঞ্জের পনির’ আর কিশোরগঞ্জের পরিচিতি হবে ‘পনিরের কিশোরগঞ্জ’। পুরো ব্যাপারটির সেøাগান হলো- ‘হাওর-বাঁওড় মাছে ভরা, কিশোরগঞ্জের পনির সেরা’।

অন্যান্য জেলার মতো কিশোরগঞ্জেরও কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি মিলিয়ে পনির উৎপাদনের মাধ্যমে কার্যকর ব্র্যান্ডিং করে জেলাটিকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সবার মাঝে তুলে ধরা সম্ভব।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার সুস্বাদু পনিরের খ্যাতি বিশ্বব্যাপী। এটা দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ হয়ে থাকে। দেশের সর্বোচ্চ স্থান বঙ্গভবন-গণভবন থেকে শুরু করে সুদূর ইংল্যান্ড পর্যন্ত প্রশংসা হয় এর স্বাদের।

অষ্টগ্রামের পনিরের ঐতিহ্য প্রায় সাড়ে তিনশ বছরের। ১৯৬০ সালে অষ্টগ্রামে প্রায় ঘরে ঘরে পনির তৈরি করা হতো। ওই সময় অষ্টগ্রামে পনির ব্যবসায়ী ছিলেন ৩০-৩৫ জন। সে সময় আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, ইতালিতে পনির যেত; এখনো যাচ্ছে। প্রতি কেজি পনিরের দাম ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা।

অষ্টগ্রামে বর্তমানে পনির ব্যবসায়ী রয়েছেন হাতেগোনা কয়েকজন। পনির ব্যবসার দুরবস্থায় অন্তত ১০ জন পনির ব্যবসায়ী পাড়ি জমিয়েছেন ঢাকার নবাবপুর, মোহাম্মদপুর, সিলেট ও চট্টগ্রামে। পনির তৈরি ব্যয়বহুল হওয়ায় ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন অনেকেই। দুধের দাম, হাওরে চাইল্যাঘাসের অভাব, গাভির অভাব পনির ব্যবসায়ী কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে মনে করছেন স্থানীয়রা। আবার আধুনিক যুগে ট্রাক্টরের ব্যবহার বৃদ্ধি, গরু-মহিষের চাহিদা অনেকটা কমে যাওয়াও পনির ব্যবসায়ী কমে যাওয়ার বিশেষ কারণ। জেলার ব্র্যান্ডিং আইটেম হিসেবে পনিরকে দেশে-বিদেশে আবার নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। পনির থেকে হাওরের জনগণ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে।

যেভাবে তৈরি হয় ঐতিহ্যবাহী পনির
একটি বড় পাত্রে দুধের সঙ্গে টক পানি ও সাধারণ পানি রাখা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে জমতে শুরু করে দুধ। পরবর্তী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে তা রূপ নেয় পনিরে। বাঁশের তৈরি টুকরিতে (ডাইস) সেই পনির ছোট ছোট অংশে রাখা হয়। তখন পানি ঝরতে থাকে পনির থেকে। পানি পড়া শেষ হলে ছোট ছোট ছিদ্র করে লবণ দেওয়া হয় পনিরে। পনির দীর্ঘ সময়ের খাবারে পরিণত করার জন্য দরকার এই লবণের। ১০ লিটার দুধে পনির তৈরি হয় মাত্র ১ কেজি।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১