বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০১ January ২০১৯

‘দেবী’ আমার জন্য প্লাস পয়েন্ট ছিল

শবনম ফারিয়া ছবি : সংগৃহীত


শবনম ফারিয়া। শোবিজের পরিচিত মুখ। ছোটপর্দাকেন্দ্রিক তার ব্যস্ততা থাকলেও ২০১৮ সালে বড়পর্দায় নিজের জাত চিনিয়েছেন এ অভিনেত্রী। প্রথম ছবিতে অভিনয় করেই মাত করেছেন দর্শকদের। নতুন বছর ও বিভিন্ন বিষয়ে এ অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন আল কাছির।

নতুন বছরের পরিকল্পনা-

সেরকম ভাবে নতুন বছরের পরিকল্পনা করা হয়নি। তবে আমার ২০১৯ সালটা শুরু হচ্ছে শুটিং দিয়ে। আগামীকাল থেকে দুটি একক নাটকের শুটিং শুরু হবে। তারপর একটি ধারাবাহিকের কাজ শুরু হবে। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে শুটিংয়ের ব্যস্ততা। তারপর গায়ে হলুদ আর বিয়ের রিসিপশনের জন্য ২০ দিনের ব্রেক নিচ্ছি শুটিং থেকে। নতুন বাসায় ওঠার পরই নতুন বছর নিয়ে ভাবতে পারব।

সংসার নাকি শোবিজ?

দুটিই আসলে ব্যালেন্স করা ছাড়া উপায় নেই। কারণ, কাজটাকে অনেক বেশি ভালোবাসি, তাই কাজটা এখন জীবনেরই অংশ। আর সংসারটা হচ্ছে নতুন জীবন। দুটিই জীবনের অংশ, দেখা যাক কী হয়। তবে কয়েক দিন সময় লাগবে।

সরকারের কাছে আপনার প্রত্যাশা-

গতকাল খুব আতঙ্ক নিয়ে ভোট দিয়েছি। আমি যখন ভোট দিতে যাচ্ছিলাম, তখন ভাবছিলাম- আদৌ ভোট দিতে পারব কি না। এই আতঙ্কটা কেন আমার মধ্যে কাজ করবে? এ ব্যাপারটা আমার কাছে পজিটিভ মনে হয়নি। দেশের নাগরিক হিসেবে যেকোনো বিষয় নিয়ে আমার কথা বলার অধিকার আছে। দেশের উন্নয়নকে যেমন সাধুবাদ জানাই, তেমনি কোনো জিনিস ভালো না লাগলে অবশ্যই সমালোচনা করব। আমরা এই সরকারকে পছন্দ করি বলেই তারা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে পেরেছে। সরকারের উচিত দেশের নাগরিকদের সব অধিকার দেওয়ার। এ সরকারের কাছে আমার প্রত্যাশা হলো- স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার সরকার আমাদের নিশ্চিত করবে, যেসব রাস্তাঘাটের এখনো উন্নয়ন হয়নি সেগুলোর উন্নয়ন করবে, ঢাকা শহরের জ্যাম নিয়ে কাজ করবে। কারণ এ জ্যাম বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে নাগরিকদের। শব্দদূষণ নিয়ে কঠোর আইন করবে। দেশের পর্যটন স্থানগুলোকে আরো আকর্ষণীয় করবে। বিশেষ করে আমাদের কক্সবাজার, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতগুলোকে আরো আকর্ষণীয় করা দরকার, যাতে বিদেশি পর্যটকরা বেশি বেশি এখানে আসতে পারেন। কোনো সরকারই আমাদের এ স্থানগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করে না। কক্সবাজার বাংলাদেশে না থেকে অন্য কোনো দেশে হলে তারা এটাকে ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা আয় করতে পারত। শুধু আমরাই পারি না।

কেন পারলাম না আমরা, কী মনে হয় আপনার-

কক্সবাজারের কথাই যদি ধরি, সেখানে অনেক কিছু ডেভেলপ করার আছে। যদি সেগুলো করতে যাওয়া হয় তাহলে লোকাল মানুষজনের অনেক কমপ্লেইন আসতে পারে। সাম্প্রদায়িক কিছু ব্যাপার সেখানে চলে আসতে পারে। সরকারকে লোকাল মানুষজনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। কক্সবাজারে উন্নয়ন হলে দেশের কী লাভ হবে সেটা তাদের বোঝাতে হবে। ট্যুরিজম খাতের উন্নয়নটা তাদের বোঝাতে হবে। তাহলেই আমার মনে হয় কক্সবাজারের উন্নয়ন সম্ভব হবে। পাশাপাশি দেশের ট্যুরিজম স্পটগুলোকে ভালোমতো মার্কেটিং করতে হবে। তাহলে বিদেশি পর্যটকদের কাছে এ জায়গাগুলো আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে।

২০১৮ সাল কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

আমি তো আসলে নাটকের মানুষ। ২০১৮ সালে খুব ভালো যে নাটক করতে পেরেছি সেরকম কোনো ব্যাপার ছিল না। বিভিন্ন কারণে কাজে আমার অনেক গ্যাপ ছিল। ‘দেবী’ ছবিটা আমার জন্য প্লাস পয়েন্ট ছিল। ছবিটা আমার সব আফসোস মিটিয়ে দিয়েছে। আসলে ছবিটি নিয়ে আমার এতটা প্রত্যাশা ছিল না। আমি ভেবেছিলাম হয়তো ফিল্ম ক্রিটিকরা এ ছবিটি দেখবেন, প্রশংসা বা সমালোচনা করবেন। কিন্তু ছবিটা যে জনপ্রিয় হবে সেটা আমি ভাবিনি। সাধারণ মানুষ যারা ছবিটিকে জনপ্রিয় করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে ছবিটি নিয়ে এখনো ভালো রেসপন্স পাচ্ছি।

বছর শেষে সাফল্যের পাল্লাটাকে ভারী রাখছেন?

আমি আসলে সে রকম করে ভাবছি না। আর নিজেকে নিজে সেভাবে মূল্যায়ন করা সম্ভবও নয়। কিন্তু এটা বলতে পারি, ২০১৮ সালে আমার এক্সপেরিয়েন্সের জায়গায় অনেক কিছু যুক্ত হয়েছে। সেটা ‘দেবী’ বলতে পারেন, কাবিনের ব্যাপারটাও বলতে পারেন। পারসোনাল এবং প্রফেশনাল দুই লাইফেই আমি নতুন কিছু জিনিস পেয়েছি।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১