বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৫ December ২০১৮

ভুয়া সংবাদ প্রচারে সরকার সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করার তাগিদ টিআইবির

লোগো টিআইবি


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ভুয়া সংবাদ প্রচারের সঙ্গে সরকারসংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বিবৃতিতে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ভুয়া সংবাদ পরিবেশনে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনারও তাগিদ দেন তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ভুয়া সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে এখন এ অভিযোগ ওঠায় প্রশাসন নিশ্চুপ। অনতিবিলম্বে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় সংস্থাটি। এ বিষয়ে তদন্তের পুরো প্রতিবেদন জনগণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশের জোর দাবিও জানানো হয়। নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন,  ফেসবুক এক বিবৃতিতে ভুয়া খবর প্রচারের মাধ্যমে এ ধরনের প্রচেষ্টাকে ‘সমন্বিত অসত্য আচরণ  (Coordinated inauthentic behavior) এবং টুইটারে ভুয়া খবর প্রচারের মাধ্যমে এ ধরনের উদ্যোগকে ‘সমন্বিতভাবে প্রচার মাধ্যমের বিভ্রান্তিকর ব্যবহার (Coordinated inauthentic behavior) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিপক্ষে ও সরকারের পক্ষে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য সংবাদ প্রচার করে জনমানুষের চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছে। একই সঙ্গে বলেছে, এটা অননুমোদিত ও অপব্যবহার। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক তদন্তে এর সঙ্গে জড়িতরা সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে উল্লেখ করেছে ও টুইটার কর্তৃপক্ষ জড়িতদের রাষ্ট্রীয়  পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছে। একদিকে এটি অত্যন্ত বিব্রতকর ও নিন্দাজনক, অন্যদিকে বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ষড়যন্ত্রমূলক অপব্যবহারের নগ্ন দৃষ্টান্ত এবং সুস্থ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যমের বিকাশের জন্য অশনি সংকেত।

তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী, সুস্পষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ আনা হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ফেসবুকের অবস্থান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না এমন  প্রশ্ন তোলা হয়েছে।  ফলে এই  ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আদৌ কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না সেই সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি, এ অপরাধের সঙ্গে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না এরূপ  প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। জড়িতরা রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কিত এ ভয়াবহ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জনগণকে দেওয়া সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতির কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। 

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১