আপডেট : ২৪ December ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ আসনে বিএনপি মনোনিত ধানের শীষের প্রার্থী এম এ হান্নানের প্রার্থিতা ফিরে পেতে করা আবেদনে কোনো আদেশ দেননি চেম্বার আদালত। এর ফলে হাইকোর্টের আদেশই বহাল রইল; অর্থাৎ তার প্রার্থিতা বাতিলই থাকল। ঋণখেলাপীর অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের করা রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আবদুল হান্নানের মনোনয়নপত্র স্থগিত করেছিলেন। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে গেলে ২৪ ডিসেম্বর সোমবার সকালে শুনানি শেষে আদালত কোনো আদেশ দেননি। হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকায় বিএনপি প্রার্থী শুন্য হলো চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান। বর্তমানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়াও ভোটের মাঠে আরো সাতজন প্রার্থী রয়েছেন। জানা গেছে, চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে সকলকে চমকে দিয়ে কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বিএনপির মনোনয়ন পান সদ্য বিএনপি থেকে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়া এম এ হান্নান। গত ২ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই কালে জেলা রির্টানিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রিমিয়ার ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক এম এ হান্নানকে ঋণ খেলাপি উল্লেখ করে আবেদন করেন। কিন্তু রির্টানিং অফিসার প্রথমে তার সিদ্ধান্ত না দিলেও যাচাই বাছাইয়ের শেষ সময়ে এসে এম এ হান্নানকে বৈধ ঘোষণা করেন। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশনের আপিল করলে সেখানেও এম এ হান্নানের পক্ষে মতামত যায়। কিন্তু গত ১৭ ডিসেম্বর সোমবার বিকালে হাইকোর্ট বিভাগের বিভাগের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও মো: খায়রুল আলমের একটি যৌথ বেঞ্চে সোনালী ব্যাংক রমনা শাখার ঋণ খেলাপি জনিত আবেদনের শুনানী শেষে এম এ হান্নানের প্রার্থীতা স্থগিত করেন। ফলে প্রার্থী শুন্য হয়ে পড়ে ফরিদগঞ্জ আসনটি।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১