জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে লড়ছেন। স্পিকার হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, বছরে তার আয় প্রায় ৭৩ লাখ টাকা। নিজ নামে রয়েছে প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ। আইনে পিএইচডি ডিগ্রিধারী হলেও তার পেশা রাজনীতি। আইনি পরামর্শক হিসেবেও রয়েছে আয়। স্পিকারের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। অতীতেও ছিল না। আয়ের উৎস হিসেবে তিনি বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে বছরে আয় করেন ৪৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংকে স্থায়ী আমানতের সুদ বাবদ আয় ৩ লাখ ২০ হাজার ৮২৫ টাকা। এছাড়া পেশা থেকে বছরে আয় করেন ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ২০ টাকা। অন্যান্য ব্যাংক সুদ বাবদ আয় ৯১ হাজার ৮২৫ টাকা। তবে ‍কৃষি ও চাকরি থেকে কোনো আয় নেই বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। নিজ নামে ২ কোটি ৮০ লাখ ৮ হাজার ৩১৭ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। স্বামীর নামে রয়েছে ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ২৯৩ টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নিজ নামে নগদ ২৭ লাখ ৭২ হাজার ১৫৮ টাকা। স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইনের নামে দেখিয়েছেন ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৫৯ টাকা। তার নিজের কাছে রয়েছে ৭ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলার। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৭৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭১১ টাকা। এক্ষেত্রে স্বামীর নামে জমা রয়েছে ৭ লাখ ১৩ হাজার ১৩৪ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে নিজ নামে জমা রয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ২১ হাজার ৯৩৬ টাকা। স্বামীর নামে জমা রয়েছে ২১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া নিজ নামে টয়োটা করলা ডিএক্স ৫ লাখ টাকা ও টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের দুটি গাড়ি রয়েছে। স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও পাথর নির্মিত অলঙ্কারাদি বাবদ ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা রয়েছে স্পিকারের। স্থাবর সম্পদ হিসেবে শিরীন শারমিন চৌধুরী দেখিয়েছেন নিজ নামে ৫টি বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট। এছাড়া একটির ৫০ শতাংশ মালিকানা। এগুলো তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। তবে হলফনামায় এগুলোর আর্থিক মূল্য তিনি উল্লেখ করেননি। কোনো দায় নেই বলে জানান শিরীন শারমিন চৌধুরী।