আপডেট : ২৬ November ২০১৮
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার পরিবর্তন চাইলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে পেতে প্রয়োজনে আদালতে যাবে ফ্রন্ট। গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরামের এক যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সিইসির সমালোচনা করে ড. কামাল বলেন, ফ্র্রন্টের পক্ষ থেকে আগেও সিইসির প্রতি অনাস্থা জানানো হয়েছে। তার সঙ্গে কথা বলে ফ্রন্ট নেতারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাই সিইসির পরিবর্তে একজন বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তিকে এ পদে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তিনি একজন বয়স্ক মানুষ ও সিনিয়র অফিসার। তবে আমাদের মত পরিবর্তন করতেও পারি। যদি সিইসি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেন। কামাল হোসেন বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে। ইসি এখনো নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেননি। যদিও দেশের জনগণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। যে নির্বাচনে দেশের জনগণ নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার অগণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তুলেছে, যা কাম্য নয়। পাইকারি হারে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের অন্তরীণ করা হচ্ছে। সিইসি বলেছেন, পুলিশ সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু কি কারণে নেতাকর্মীদের ধরা হচ্ছে তা তথ্যসহ তুলে ধরতে হবে। যাতে আমরাও তদন্ত করে দেখতে পারি যুক্তিসঙ্গত কারণে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। জেলখানা ভর্তি হয়ে গেছে। সেখানে কোনো জায়গা নেই। দেশের এই সংবিধান প্রণেতা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মনিরুল হক চৌধুরীর আদালতে পড়ে যাওয়ার ছবি দেখিয়ে বলা হয় তাকে কেন এভাবে দেখতে হলো, তাকে কেন গ্রেফতার করা হলো। তিনি একজন প্রার্থী। এ সময় তিনি পুলিশকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা কোনো দলের নয়, রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন। ৬টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের যে সিদ্ধান্ত ইসি নিয়েছে সে প্রসঙ্গে কামাল হোসেন বলেন, বিভিন্ন দেশে ইভিএম চালু করা হলেও পরে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলোতে চালু হওয়ার পর বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন ইসি কারচুপির জন্য সরকারের পক্ষে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইভিএমে এক প্রতীকে ভোট দিলে চলে যায় অন্য প্রতীকে। সঙ্গে সঙ্গে তা চেক করা যায় না। এসব কারণে সব দল বলেছে ইভিএম বাতিল করতে। গণফোরামে যোগ দেওয়া ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘মানুষের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আমি কেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছি। কারণ ধানের শীষ প্রতীকটি কিন্তু মওলানা ভাসানীর।’ মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন বলেন, ‘আমি নৌকার লোক। নৌকা নিয়ে নির্বাচন করে হেরেছি। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কারণ ছিল আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। তিনি বলেন, ‘দেশে হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি চলছে। সে জন্য শক্তভাবে রাজনীতিতে নেমেছি হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে দেশে সুষ্ঠুধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে।’ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গণফোরামের কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘গণভবন, মন্ত্রীদের বাসভবন, সরকারি অফিস, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এরপরও ইসি নীরব ভূমিকা পালন করছে।’ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, সাবেক ছাত্রনেতা সুলতান মো. মনসুর প্রমুখ।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১