বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৫ November ২০১৮

বোথামকে ছাড়িয়ে সাকিবের রেকর্ড

উইকেট লাভের পর সাকিবকে সতীর্থদের অভিনন্দন ছবি : বাংলাদেশের খবর


২৪ নভেম্বর যেন সাকিব আল হাসানের জন্য খুবই পয়া। সঙ্গে প্রতিপক্ষ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। ছয় বছর আগে এই দিনেই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সাকিব পেয়েছিলেন দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে শততম টেস্ট উইকেটের সন্ধান। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর খুলনায় মধ্যাহ্নভোজের আগেই ড্যারেন স্যামির উইকেট নিয়ে সাকিব স্পর্শ করেছিলেন মোহাম্মদ রফিকের মাইলফলকটি। ২০০৮ সালের মার্চে ১০০ টেস্ট উইকেট শিকার করে বিদায় নেন রফিক। কাকতালীয়ভাবে এবার একই দিনের প্রায় একই সময়ে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে অনন্য এক রেকর্ড গড়লেন সাকিব। প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণে ২০০ উইকেটের মালিক বনে গেলেন। ৬৪ রানের দুরন্ত এক জয়ের ম্যাচে নিয়মিত এ টেস্ট অধিনায়ক সবাইকে ছাড়িয়ে টেস্ট ক্রিকেটে লিখলেন নতুন ইতিহাস। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দ্রুততম সময়ে ৩০০০ রানের সঙ্গে ২০০ উইকেট শিকারের রেকর্ড এখন তার দখলে। অসাধারণ এ কৃতিত্ব গড়তে সাকিব খেলেছেন মাত্র ৫৪ টেস্ট ও ৯১ ইনিংস। আগের রেকর্ডধারী ইংলিশ অলরাউন্ডার স্যার ইয়ান বোথামের চেয়ে একটি টেস্ট কম খেলেন মাগুরার এ ছেলে।

চট্টগ্রামে ১৯৬ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বোলিং উদ্বোধন করেন সাকিব। জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২০৪ রান তাড়া করতে নামা উইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওভারেই টাইগার বাহিনীকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন বাঁহাতি এ স্পিনার। ক্যারিবিয়ানদের দ্বিতীয় ইনিংসে ঘূর্ণিজাদুতে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে কিয়েরন পাওয়েলকে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরিয়েই উইকেট শিকারে দ্বিশতক পূর্ণ করে ফেলেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। পরে অবশ্য উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শাই হোপকেও মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দি করেন। প্রথম ইনিংসেও নেন তিনটি উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে সাকিবের থলেতে জমা পড়ে ৫ উইকেট। ক্যারিয়ারে সাকিবের উইকেট এখন ২০১টি। তবে ৩০০০ রানের মাইলফলকটি তিনি স্পর্শ করেন ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে, নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে।

ভারতের জাভাগাল শ্রীনাথ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভারনন ফিল্যান্ডারদের মতো ১৭তম বোলার হিসেবে যৌথভাবে দ্রুততম ২০০ উইকেট শিকারি এখন সাকিব। তবে টপকে গেছেন ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন, বাংলাদেশের বর্তমান বোলিং কোচ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোর্টনি ওয়ালশ ও ইংল্যান্ডের ব্রায়ান স্ট্যাথামকে। টেস্টে উইকেট শিকারের শীর্ষ তিন বাংলাদেশি বোলারই বাঁহাতি স্পিনার। সাকিব ও রফিকের পরই রয়েছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম (৯৪) ও ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা (৭৮)।

সাকিব এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ১৮ বার। ১০ উইকেট শিকার করেছেন দুইবার। তার ক্যারিয়ার সেরা ম্যাচ ফিগার এসেছে ২০১৪ সালে খুলনায়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২৪ রানে নেন ১০ উইকেট। একই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংতাণ্ডব চালিয়ে সংগ্রহ করেছিলেন ১৩৭। দ্বিতীয়বার ১০ উইকেট পান গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সে ম্যাচের প্রথম ইনিংসেও হেসেছিল সাকিবের ব্যাট। দলকে উপহার দিয়েছিলেন ৮৪ রানের অসাধারণ এক ক্রিকেটীয় ইনিংস।

অবশ্য এক ইনিংসে তার সেরা বোলিং ফিগার এসেছে চট্টগ্রামেই। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৬ রানে নেন ৭ উইকেট। এমন বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর সাকিবকে প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়েছিলেন তৎকালীন কোচ জেমি সিডন্স। রফিকের পর তারকা এ অলরাউন্ডারকে অ্যাখ্যা দেন বোলিং লিডার হিসেবে।

টেস্টে দ্রুততম ৩০০০ রান ও ২০০ উইকেট

সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ) ৫৪ টেস্ট

ইয়ান বোথাম (ইংল্যান্ড) ৫৫ টেস্ট

ক্রিস কেয়ার্নস (নিউজিল্যান্ড) ৫৮ টেস্ট

অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ (ইংল্যান্ড) ৬৯ টেস্ট

কপিল দেব (ভারত) ৭৩ টেস্ট


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১